এসব অর্থ শিক্ষাখাতে ব্যয় করতে হবে !
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। তাদের এই আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও। এবার ফেসবুকে এই আন্দোলন নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন এ্যামেনেস্টির ইন্টারন্যাশনালের আন্তর্জাতিক সদস্য আব্দুল্লাহ নুহু। তার স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে দেয়া হল প্রতিক্ষণের পাঠকদের জন্য।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভ্যাটের টাকা না নিয়ে যেভাবে এ ঘাটতি পূরণ করা যায়:
১. মন্ত্রী, আমলাদের হাঁচি, কাশির চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইংল্যান্ড না যাওয়া। এতে উচ্চ খরচের চিকিৎসা ব্যায়সহ বেশ কিছু মানুষের বিমান ভাড়া, হোটেল ভাড়া, হাসপাতাল ভাড়া ইত্যাদি খরচ বাঁচবে।
২. মন্ত্রী, এম.পি., আমলাদের ট্যাক্সবিহীন গাড়ি আমদানি বন্ধ করে ট্যাক্স যোগ করা। তাতে অনেক টাকা সরকারি কোষাগারে যোগ হবে।
৩. প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীদের বিদেশ সফরে শতাধিক সফরসঙ্গীর প্রচলনটা বাতিল করা। এতে করেও বিরাট অংকের সরকারি অর্থের অপব্যায় বন্ধ হবে।
৪. জনগণের সেবকদের জনগণের সেবা করার মানসিকতা যেহেতু রয়েছে, তাদের বেতন কমানো যেতে পারে। সুযোগ সুবিধা কমানো যেতে পারে।
৫. বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা থেকে অতিরিক্ত আয় হচ্ছে।
৬. হলমার্ক কেলেঙ্কারি, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, হাজার হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋনের এবং দুর্নীতিকারীদের কাছ থেকে টাকাগুলো আদায় করতে হবে।
৭. যারা কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে তাদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করতে হবে।
৮. রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের জন্য বিভিন্ন বাহিনী ব্যবহার বাবদ খরচ কমাতে হবে।
৯. অনুৎপাদনশীল এবং শক্তি প্রদর্শণ বা শক্তি প্রয়োগের নিমিত্ত ব্যায় কমাতে হবে। যা বর্তমানে বিপুল রাজস্ব অর্থ ব্যায়ের কারণ।
১০. ব্যাংকে নাকি আমাদের স্মরণকালের সেরা মজুদ! কয়েক বিলিয়ন ডলার পড়ে আছে। সেসব অচল টাকা দিয়ে আমরা কি করবো? খামোখা বাহবা নিয়ে তো জাতির কোন লাভ নেই। জাতির মেরুদণ্ড মজবুতকরণে সেসব অর্থ ব্যয় করতে হবে।
এসব অর্থ একত্রিত করে শিক্ষাখাতে জাতির মেরুদণ্ড মজবুত করতে ব্যায় করতে হবে।
যারা লাখ, কোটি টাকার সুবিধা ভোগ করছেন তারাই সকল দিক দিয়ে চাপমুক্ত থাকবেন আর নিম্ন, নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সীমিত আয়ের মানুষেরা কোন সুবিধা পাবে না, কেবল দিয়েই যাবে তা তো হতে পারে না।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে