ওটা ভুয়া সংবাদ!
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
হয়তো মুস্তাফিজুর রহমানের মত এতটা ‘রাজষিক অভিষেক’ ছিলো না তার। তবে বাঁহাতি সুইং বোলিংয়ে শুরুর দিকে ক্রিকেট বিশ্বে নজর কেড়েছিলেন তিনিও। কিন্তু ইনজুরিই কাল হয়েছে বাংলাদেশী পেসার সৈয়দ রাসেলের। লড়াই করে হলেও এখনও ক্রিকেট নিয়েই আছেন তিনি। একান্ত সাক্ষাৎকারে রাসেল জানিয়েছেন আরও অনেক কিছু।
প্রশ্ন: রাসেল অনেক দিন পর দেখা, কেমন আছেন?
সৈয়দ রাসেল: এইতো চলছে, আমি এখন রিহ্যাবে আছি। বিসিবির কাছে আবেদন করেছিলাম, তারা সুযোগ করে দিয়েছে। গত মার্চে অপারেশন হলো আমার ঘাড়ে। এখন অনেকটা ভালো অনুভব করছি। চেষ্টা করছি ফিটনেসটা ধরে রাখার।
প্রশ্ন: তাহলে বলতে পারি ক্রিকেটের সঙ্গে এখনও আছেন আপনি?
সৈয়দ রাসেল: হ্যা, আছিতো। হোম ক্রিকেটতো খেলছি আমি। আর নিয়মিত এখানেও (বিসিবি জিমনেশিয়াম) আসছি। রিহ্যাব পরিচালকদের নিয়ম মেনে চালিয়ে যাচ্ছি। চেষ্টার কোন কমতি রাখছি না। দেখি কি হয়।
প্রশ্ন: কিন্তু মাঝেতো একবার খবর ছড়িয়ে পড়লো যে আপনি ক্রিকেট ছেড়ে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছেন?
সৈয়দ রাসেল: (হাসি) এটা একেবারেই ‘ভুয়া’ একটা সংবাদ ছিলো। বলতে পারেন আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে ওই সংবাদটা ছাপানো হয়। নামটা ভুলে গেছি আমি, স্থানীয় একটা অনলাইন নিউজটা করেছিলো, আর এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি কোনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই।
প্রশ্ন: কি হয়েছিলো একটু খুলে বলবেন?
সৈয়দ রাসেল: সম্ভবত কোনো এক ঈদের ছুটিতে আমি যশোর গিয়েছিলাম। সেখানেই একজন সাংবাদিক আমাকে ফোন করে সাক্ষাতকার নিতে চাইলেন। আমিও রাজি হলাম। জায়গা ঠিক হলো আমার এক বন্ধুর দোকানে। সন্ধ্যার পর সেখানে বসেই তার সঙ্গে আমার কথা হয়। এবং তিনি একটা ছবি তুলেন। পরে সেই ছবি ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করা হয়। ব্যাপারটা খুবই দু:খজনক। আমি আবারও বলছি আমার কোনো ধরনের কাপড়ের ব্যবসা নেই। স্ত্রী এবং এক ছেলে নিয়ে আমার সংসার। ওরা যশোরে থাকে। এখনও ক্রিকেটই আমার পেশা এবং নেশা।
প্রশ্ন: এই কয়েকবছরে তো বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক এগিয়ে গেলো, আপনার ভবিষ্যত নিয়ে কি ভাবেন?
সৈয়দ রাসেল: হ্যা এটা আমিও মনে করি। আগের চেয়ে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এখন দলে টিকে থাকা যেমন চ্যালেঞ্জিং ফিরে আসাটা আরও বেশি কঠিন। এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
প্রশ্ন: নতুন পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে কেমন দেখলেন?
সৈয়দ রাসেল: অসাধারণ, আগে থেকেই চিনতাম ওকে। লোকাল ক্রিকেটে ওর বোলিং দেখেছি আগেও। তখনই আসলে বুঝতে পারি অনেক দূর যাবে ছেলেটা।
প্রশ্ন: কি মনে হয় এদের সঙ্গে লড়াই করে আবার ফিরে আসা সম্ভব?
সৈয়দ রাসেল: একেবারে অসম্ভবও কিছু না। আমি আশা ছাড়িনি। মাশরাফিকে দেখে আরও উৎসাহ পাচ্ছি। তা ছাড়া উন্নত ক্রিকেট বিশ্বে নতুনদের সঙ্গে সঙ্গে ৩০ বছর বয়স পেরিয়ে যাওয়া পেসারদেরও অনেক বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশেও এই ট্রেন্ডটা চালু হচ্ছে বলে মনে হয়। আমি তাই আশা ছাড়ি নি।
আমার আদর্শ ওয়াসিম আকরাম, তিনি অনেক বছর পর্যন্ত একটা দেশের প্রধান স্ট্রাইক বোলার ছিলেন। তাই লড়াই চালিয়ে যাই। দেখি কি হয়।
প্রশ্ন: বেস্ট অফ লাক রাসেল। লড়াই চলুক, ভালো থাকবেন।
সৈয়দ রাসেল: ধন্যবাদ।
সূত্র-দেখুন।
প্রতিক্ষণ/এডি/জহির