ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সংসদীয় কমিটি
বিশেষ প্রতিবেদন
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক বক্তব্য এবং ব্যক্তি বিশেষের নামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে । এ কমিটির আগের বৈঠকে এ সংক্রান্ত সুপারিশ আসে।
কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান ওয়াজ মাহফিলে বিতর্কিত আলোচনার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি শীতে ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তি বিশেষের নামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত রাখার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন। তার সঙ্গে একমত পোষণ করেন কমিটির সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি বলেন, মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হিংসা, বিদ্বেষ বা উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য রাখা যাবে না। একটি গোষ্ঠী ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রচার করার মাধ্যমে বাধা সৃষ্টি করছে।
বুধবার কমিটির ১৩তম বৈঠকে বিষয়টি সুপারিশ আকারে নিয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- আসন্ন শীত মৌসুমে ওয়াজ মাহফিলে রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তি বিশেষের নামে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত রাখার বিষয়ে পুলিশ সদর দফতরের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সব ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, শীতকালে দেশে ওয়াজ মাহফিল বেশি হয়। ধর্মীয় প্রচারণার জন্য এসব ওয়াজ মাহফিল হওয়ার কথা। কিন্তু ইদানিং ওয়াজ মাহফিলে বক্তারা ধর্মীয় প্রচারের চেয়ে রাজনৈতিক কথা বেশি বলেন। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সমালোচনা করেন। আমরা এটা বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে বলেছিলাম। মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওয়াজ মাহফিলে বক্তাদের বয়ানে সাম্প্রদায়িকতা, রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য প্রদান, জঙ্গিবাদে উৎসাহ দেওয়া, ধর্মের নামে বিভিন্ন উপদল ও শোবিজ তারকাকে নিয়ে বিষোদ্গার, নারীদের পর্দা করা নিয়ে কটূক্তিসহ বিভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে ছয়টি সুপারিশ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সব বিভাগীয় কমিশনারের কাছে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছিল।