কাল সোমবার রাতে ব্রিসবনের এ্যালান বোর্ডার গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ টি২০ বিশ্বকাপে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নামবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দলের দুই সদস্য পরিবর্তন করে আইসিসিকে চিঠি দিয়েছে। সৌম্য সরকার আর শরিফুল ইসলাম দরে ঢুকলেন। বাদ গেলেন সাব্বির রহমান আর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। এর কারণ টাইগারদের মাঠের পারফর্মেন্স।
টি২০ বিশ্বকাপ আসর শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ম্যাচে ২৫ লাখ মানুষের দেশ নামিবিয়া ৫৫ রানে হারিয়ে দিয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর চলতি এশিয়া কাপের শিরোপা জেতা শ্রীলঙ্কাকে। হতবাক করে দিয়েছে ব্যাটিং আর বোলিং পারফর্ম দিয়েছে। অথচ এই নামিবিয়া আইসিসির র্যাঙ্কিয়ে একে বারে তলানিতে আছে।
অথচ বাংলাদেশ টি২০ ফর্মেটে আজও নিজেদের ঠিক মতো চিনেই উঠতে পারছে না। দুবাইতে এশিয়া কাপে চরম ভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দেবার পর নিউজিল্যান্ডে তিন জাতি প্রস্তুতি সিরিজটা ছিল বিশ্বকাপের মঞ্চে উঠার আগে নিজেদের যোগ্যতা যাচাই করা। টানা ৪ ম্যাচে হেরে সাকিব বাহিনী এখন প্রশ্নের মুখে।
তিন জাতি প্রস্তুতি সিরিজে কোন বিভাগেই নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে ওপেনিং জুটি নিয়ে রীতিমতো গবেষণাই করছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। সৌম্যকে দলে টানার পর শোনা যাচ্ছিল সৌম্যকে দিয়ে ওপেন করানো হবে। সে পরিকল্পনাতেই হাঁটছে বাংলাদেশ কোচ জেমি সিডন্স।
আজ ব্রিসবনে নিজের দলের অনুশীলনে ব্যাটিংটার দিকেই বেশি মনোযোগি ছিলেন জেমি। প্রস্তুতি ম্যাচে নামার আগে বললেন, আমরা ওপেনিং জুটি পেয়ে গেছি। আশা করছি প্রস্তুতি ম্যাচেই আমরা আমাদের লাইনআপ পেয়ে যাব।’
সাকিব বাহিনীকে আজ ব্রিসবনে অনুশীলনে ব্যাটিং নিয়ে যখন বেশি শ্রম দিতে দেখা গেল তখন জেমি কথা গুলো সত্য বলেই মনে হয়েছে। তবে এটা যে, প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানদের বিরুদ্ধেই বাংলাদেশের প্রকৃত লাইনআপটা পাওয়া যাবে। সে লাইনআপ নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ মিশনে নামবে।
তবে মনে রাখতে হবে প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলটির নাম আফগান। আর পরিসংখ্যানের খাতাটাতেও সাকিবদের গল্প-কথা ইতিবাচক না। কারণ ১৩৯ টি২০ ম্যাচে মাত্র ৪৭টিতে জয় পাওয়া বাংলাদেশ ২০২২ সাল অবদি আফগানদের বিরুদ্ধে টি২০ খেলছে ৯টি, তাতে হেরেছে বসেছে ৬টি-তেই, আর জয়? সে তো বলার দরকার হয় না ৩টি।