কোমেনের আঘাতে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’। কোমেনের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এতে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে নারকেল গাছ চাপা পড়ে মোহাম্মদ ইসলাম (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর এটি এখন শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ চট্টগ্রাম, বরিশাল, কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তিনি আরো জানান, বৃহস্পতিবার সকালে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ও টেকনাফে আঘাত এনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’। এটি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮০ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরপশ্চিমে অবস্থান করছে। এটি ক্রমেই উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার দুপুর থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। রাতে এ ঝোড়ো হাওয়ার মাত্রা দিনের বেলার চাইতে আরো তীব্র হয়।
সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার ডিকসন চৌধুরী বলেন , রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। তবে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিমপাড়ায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং বিপুলসংখ্যক গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলম জানান, টেকনাফে ভোরে প্রবল ঝোড়ো হাওয়ায় শাহপরীর দ্বীপ, বাহারছড়া ও সাবরাং এলাকায় অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ২০ জনের অধিক লোকজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে সরে আসতে মাইকিং করা হচ্ছে।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহা জানান, কক্সবাজারের ৭১টি ইউনিয়নের মধ্যে ২৮ ইউনিয়নের মানুষকে ৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে ৮৮টি মেডিক্যাল টিমসহ তদারকির জন্য আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিমান চলাচলও বন্ধ করা হয়েছে।
রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন কম থাকলেও সকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়তে শুরু করে।
প্রতিক্ষণ/ডেস্ক/সজল