খরগোশ পালন পদ্ধতি
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:
খরগোশ সবার কাছে একটি পরিচিত প্রাণী।অনেকে শখ করে খরগোশ পালন করে থাকলেও বর্তমানে ব্যবসায়িক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে খরগোশ পালন।দুই থেকে তিন কেজি ওজনসম্পন্ন অধিক উৎপাদনশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল খরগোশ পালন বেশ লাভজনক।
তাই আসুন খরগোশ পালন পদ্ধতি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেইঃছয় মাস বয়সে খরগোশ বাচ্চা দেওয়া শুরু করে। প্রতিবারে এরা ২ থেকে ৮টি বাচ্চা দেয় এবং বছরে ৪ থেকে ৬ বার বাচ্চা দেয়। খরগোশ তৃণভোজী প্রাণী। এদের খাদ্য সহজলভ্য। অল্প পরিমাণের খাদ্য এদের চাহিদা পূরণ করে।
খরগোশের বাসস্থানঃ
খরগোশের খাঁচা-বাঁশ, কাঠ ও তারের নেট দিয়ে তৈরি করা যায়।অল্প জায়গায় খাঁচার মধ্যে খরগোশ পালন করা যায়।খরগোশের জন্য সব সময় নিরিবিলি, পরিষ্কার-পরিছন্ন ও শান্ত পরিবেশ বজায় রাখতে হয়।কয়েকটি স্ত্রী খরগোশ একসাথে রাখা গেলেও একাধিক প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ একসাথে রাখা ঠিক না কারণ এরা মারামারি করে।৩ মাস বয়সের পর থেকে স্ত্রী ও পুরুষ খরগোশ আলাদা আলাদা রাখতে হয়।শুধু প্রজননের জন্যে পুরুষ খরগোশ ও স্ত্রী খরগোশ ১০-১৫ মিনিট রাখতে হবে।
খরগোশের খাবারঃ
কচি ঘাস, লতা-পাতা, শস্য দানা, গাজর, মূলা, শশা, মিষ্টি আলু, খড়কুটো, তরকারির ফেলনা অংশ, গম, কুড়া, ভুসি, খৈল, সয়াবিন, দুধ, পাউরুটি, ছোলা ইত্যাদি খরগোশের খাবার। ঘাস, শাক ইত্যাদি সব সময় শুকনা বা ঝকঝকে অবস্থায় দিতে হবে। ভেজানো গম বা ছোলা অল্প সিদ্ধ করে দেওয়া যেতে পারে। এর সাথে ভুসি মিশিয়ে দিলে আরো ভালো হয়।
কি কি করবেনঃ
খরগোশ বাচ্চা জন্ম দেয়ার জন্য একটি ছোট নেস্ট বক্স অথবা কিছু পরিষ্কার খড়কুটো দিতে হবে। জন্মের পর যদি কোন মরা বাচ্চা থাকলে তা সরিয়ে নিন।জন্মের পর ১ মাস বাচ্চাকে মায়ের সাথে থাকতে দিন।বাচ্চার গায়ে হাত দিয়ে আদর করবেন না। কারণ এতে বাচ্চার শরীরে অন্য গন্ধ হয় এবং মা বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানো বন্ধ করে দিতে পারে। পিঁপড়ে, ইঁদুর, ছুঁচো, শিয়াল ইত্যাদি যাতে আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য খাঁচাতে মাঝে মাঝেই নজর রাখতে হবে।
তাই যে কেউ ইচ্ছা করলেই খরগোশ পালন করতে পারবে খুব সহজেই।
প্রতিক্ষণ/এডি/জুয়েল