খালেদা গ্রেফতার হতে পারেন: মাহবুব

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫ সময়ঃ ২:২৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:২৭ অপরাহ্ণ

আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম

khaleda-zia-2008-12-27-8-3-28_63504বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, গ্রেফতার হলে হবেন, রাজনীতি করলে গ্রেফতার হতেই হয়।

বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তার কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, রাজনীতিতে গ্রেফতার অস্বাভাবিক কিছু নয়, জনগণের কল্যাণে রাজনীতিকরা বহুবার গ্রেফতার হন।

তিনি বলেন, আমরা অনেকবার বলেছি, তিনি (খালেদা জিয়া) গুলশানের কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে আছেন, রয়েছেন অভুক্ত হয়ে। এছাড়া আইনের যত ব্যাখ্যা আছে, তার সবই আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘এরপরও আদালত তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন’—যোগ করেন খন্দকার মাহবুব।

এটা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থী বলেও মনে করেন এই আইনজীবী।

এর আগে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে বিশেষ জজ আদালত। বুধবার ঢাকার বকশিবাজার এলাকায় আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ পরোয়ানা জারি করেন।

এদিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের ধার্য তারিখ ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে খালেদা জিয়া আদালতে না যাননি। তার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের শুনানি শেষে বিচারক সময়ের আবেদন নাকচ করে খালেদা জিয়াসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি জারি করেন। অপর দুই আসামি হলেন মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

গত ২৪ ডিসেম্বর সর্বশেষ আদালতে হাজির হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ওইদিন তার আদালতে যাওয়াকে ঘিরে রাস্তায় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এর পর মামলার বেশ কয়েকটি তারিখ নির্ধারণ হলেও খালেদা জিয়া নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে অাদালতে যাননি। প্রতিটি তারিখেই তার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গত ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ অভিযোগ গঠন করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুদক।

প্রতিক্ষণ/এডি/রাজু

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G