খেলাপি ঋণে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ব্যাংক
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত কয়েকমাসে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ। অস্বাভাবিক হারে খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, তিন মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলাপি ঋণ প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। টাকার অংকে যার পরিমাণ দুই হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। এসব প্রতিষ্ঠানে গত ডিসেম্বর মাসেও খেলাপি ঋণ ছিল এক হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে ঋণ আদায় কমে গেছে। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শনে কিছু ঋণ নতুন করে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করতে হয়েছে আমাদের। যার ফলে অস্বাভাবিকভাবে খেলাপি ঋণ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। তবে আমরা চিঠি দিয়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো সতর্ক হতে বলেছি। যাতে ঋণ বিতরণে তারা আরো দায়িত্বশীল হয়। মার্চে এসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট ঋণস্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।
গত ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ৩৭ হাজার ২৭৬ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিল ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। তিন মাসে এ খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৮১ কোটি টাকা। এর আগে গত সেপ্টেম্বরের তুলনায় ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ কমেছিল ২৬৩ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
মার্চ প্রান্তিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সামগ্রিক খেলাপি ঋণ ৭ শতাংশ। তবে শীর্ষে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ১১ শতাংশের ওপরে। সর্বোচ্চ ৩৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে মাইডাস ফাইন্যান্স লিমিটেডের।
ফার্স্ট ফাইন্যান্স লিমিটেডের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ২২ শতাংশ, সাবিনকোর ১৮ দশমিক ৪০, পিপলস লিজিং লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৭৫, প্রাইম ফাইন্যান্স লিমিটেডের ১৩ দশমিক ৩৫, বিআইএফসির ১৩ দশমিক ৩৪, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ১২ দশমিক ২২, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ১২ দশমিক শূন্য ৯, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ১১ দশমিক শূন্য ৯০ শতাংশ ও এফএএস ফাইন্যান্সের ১১ দশমিক ৪ শতাংশ।
প্রতিক্ষণ/এডি/নূর