গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাইলেন সুরঞ্জিত

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৫ সময়ঃ ২:৪৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:৪৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম :

সুরঞ্জিতনাশকতার মাধ্যমে র্নিদয়, নিষ্ঠুরভাবে নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। যাদের রাজনৈতিকভাবে কোন সম্পৃক্ততা নেই। এদের বিরুদ্ধে মানুষকে জাগীয়ে তোলা গণমাধ্যম ছাড়া রাজনীতিবীদের পক্ষে একা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল ইন্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিয়ার্স মিলোনায়তনে নৌকা সমর্থক গোষ্ঠি আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ে এক অালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যন্ন দেশে যারা নাশকতা মোকাবেলা করেছেন তাদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ নাশকতা, অাইন শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক সংকট হিসেবে চিহ্নিত না করে মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ ও নাশকতার সংকট হিসেবে চিহ্নিত করে নতুন আইন ও প্রশিক্ষিত বাহিনী গঠন করতে হবে।’

সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুটি জায়গায় আটকে গেছি। এই বুদ্ধিজীবীদের যত তাড়াতারি বিভ্রান্তি কাটবে এবং গণমাধ্যম যত তাড়াতাড়ি এই নাশকতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে।’আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। সকলকে একত্রিত করে এই সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। আন্দোলন আর নাশকতা এক না। গণআন্দোলনের চরিত্র এক রকম আর নাশকতার চরিত্র অারেক রকম বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের মধ্যে এই পেট্রোল বোমার সংস্কৃতি আগে ছিলো না। এর জননী বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। বর্তমানে যেসব নাশকতা চলছে তা একটি নিচু জাতীয় নাশকতাবাদী ষড়যন্ত্র। এটি মুক্তিয‌‌‌ুদ্ধের বিরুদ্ধে।’

সুরঞ্জিত বলেন, ‘এটি যতনা বেশি ক্ষমতার সংকট তার চেয়ে বেশি আদর্শের সংকট। আমদেরকে এই সংকট প্রতিরোধে আপোষহীন হয়ে থাকতে হবে।’

আয়োজিত সংগঠনের সভাপতি ইমদাদুল হক সেলিমের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদি দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, সংগঠনের মহা সচিব হুমায়ন কবীর মিজি, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু প্রমুখ।

প্রতিক্ষণ/এডি/নিলয়

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G