গৃহকর্মী ধর্ষণ, তদন্তে পুলিশের গাফিলতি
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষন করেন গৃহকর্তা। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সামাজিকভাবে বিয়ে করবে বলেও আশ্বাস দেন গৃহকর্তা মিতাউর। কিন্তু মিতাউর ও তার পরিবার কালক্ষেপণ করলে অবশেষে আদালতের দারস্থ হন গৃহকর্মী মনিরা বেগম ও তার মা। ঘটনাটি ঘটেছে সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা ইউনিয়নের ভরপুর গ্রামে।
আদালত দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কার্যালয়ে প্রেরন করে কিন্তু ৫ মাসেও প্রতিবেদন দাখিল করেনি ডিবি পুলিশ। এদিকে সম্প্রতি ভুক্তভোগী মনিরা সন্তান প্রসব করলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে।
ভুক্তভোগী পরিবারটির অভিযোগ, ওই গ্রামের বাসিন্দা নিকটাত্মীয় মিতাউর রহমানের স্ত্রী নাজিমা বেগম তাদের পারিবারিক কাজে সাহায্য করার জন্য মনিরা বেগমকে নিয়ে আসেন। পরে মিতাউরের একাধিক বার ধর্ষণের ফলে মনিরার শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তার মা তাকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নবীগঞ্জ শহরে হেল্থ কেয়ার ডায়গনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে জানতে পারেন মেয়ে মনিরা অন্তঃস্বত্তা। পরে ভুক্তভোগী মনিরার বাবা ছুরত আলী ও আফিয়া বেগম তাদের আত্মীয় স্বজনসহ গ্রামের মুরুব্বিয়ানদের ও স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ঘটনাটির বিচার দাবি করেন। কিন্ত এতে কোনো সুরাহা পাননি তারা।
এরপর নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা কতৃপক্ষ কোর্টে মামলা করার পরামর্শ দেন। অবশেষে আফিয়া বেগম বাদি হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৭৬/১৬ আবেদনটি আমলে নিয়ে আদালত হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন।
মামলার বাদি আফিয়া বেগম জানান, ডিবি পুলিশকে ৭ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ দেন বিজ্ঞ আদালত, কিন্তু ৫ মাসেও প্রতিবেদন দাখিল করেনি ডিবি পুলিশ।
তিনি বলেন, আমরা একাধিক দিন ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছি, পুলিশ বলে ডিএনএ টেষ্ট করবে, এই সেই বলে সময় ক্ষেপন করে। গত ২৪ মে সন্তান প্রসব করেছে মনিরা।
মিতাউর ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সঠিক শাস্তিদানের জন্য জোর দাবি জানান ভুক্তভোগীর মা আফিয়া বেগম।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মিতাউরের পিতা তালেব উদ্দিন বলেন, ‘আমি কিছু জানিনা, আমার ছেলে আমার কাছে নেই। আমাকে আসামি করে মামলা যখন করেছে, তাহলে মামলায়ই জবাব দেব। এখন আর সালিসের কি দরকার।’
এদিকে হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের ওসি মোশারফ হোসেন পিপিএম জানান, মামলার তদন্ত চলছে দ্রুত আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া