চুয়াডাঙ্গায় গণপিটুনিতে আহত ৭
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গরু চোর সেন্দেহে ৭ জনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী।
শনিবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার জামজামি গ্রামের যমুনার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
গণপিটুনিতে আহত ব্যক্তিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার বড় ধুপাতিলা গ্রামের সাহেব আলী (৪৫), আবুল কালাম (৪৫), একই গ্রামের ইন্তাজুল হক (৩০), গাফ্ফার হোসেন (৩০), খাকসার মণ্ডল (৫০),শামীম আহম্মেদ (২৫) ও মিলন হোসেন (৩৫)।
সংঘবদ্ধ একটি চক্র আলমডাঙ্গা উপজেলার ভদুয়া গ্রামের রেজাউল ইসলাম ও আমজাদ হোসেনের বাড়ি থেকে দু’টি গরু চুরি করে জামজামি গ্রামের যমুনার মাঠে একটি ট্রাকে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় টের পেয়ে গ্রামের লোকজন তাদের ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আমলডাঙ্গা উপজেলার হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
ভদুয়া গ্রামের কৃষক আলতাফ বিশ্বাস জানান, বেশ কয়েক মাস ধরেই ভদুয়াসহ আশপাশের গ্রামগুলোতে একের পর এক কৃষকের হালের বলদ চুরি হয়ে যাচ্ছে। গত তিন মাসে ঐ এলাকার ১০টি গ্রামের প্রায় শতাধিক গরু চুরি হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জুড়ান মন্ডল জানান, গত কয়েক মাসে একের পর এক চুরির ঘটনায় মানুষ বিক্ষুব্ধ ছিলো। শনিবার ভোরে যখন ঐ গরু চোর চক্র গরু চুরি করে ট্রাকে তুলছিলো, তখন গ্রামবাসী তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। যে যা পেয়েছে হাতের নাগালে তাই দিয়েই পিটিয়েছে গরু চোরদের।
তবে, চুরির অভিযোগে অভিযুক্ত মিলন ও শামীম হোসেন গরু চুরির কথা অস্বীকার করে জানিয়েছেন, আমরা সবাই গরু কেনা-বেচার ব্যবসা করি। আমরা শনিবার রাতে গরু কেনার জন্য জয়পুরহাটে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আলমডাঙ্গার জামজামি-যমুনার মাঠ এলাকায় পৌঁছালে গ্রামবাসী চোর ভেবে আমাদের ওপর হামলা করে।
এ সময় তাদের কাছে থাকা প্রায় ৬ লাখ টাকাও লুট হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আতিয়ার রহমান জানান, এ ঘটনায় ঐ গ্রামের আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে ৭ চোরকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এরপরও ঘটনাটি মামলা তদন্ত কর দেখবো। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।