চোখের পানির অবাক করা কিছু তথ্য

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৫ সময়ঃ ৩:২৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

pani

কখনও ভেবে দেখেছেন, কারণে অকারণে আমাদের চোখের পানি কেন আসে? সিনেমা  হলে একটা চূড়ান্ত রোম্যান্টিক ছবি দেখতে দেখতেও চোখের কোণ ভিজে উঠে অথবা পথে চলতে চলতে চোখে একটা কিছু পড়ল, সঙ্গে সঙ্গে পানি চলে আসে। দেখতে একই রকম হলেও দু’টি দু’রকমের কান্না এবং এর কাজও দুই রকমের। আমরা অনেকেই জানি না চোখের পানি আসোলে কেন আসে? জেনে নিই চোখের পানির অবাক করা কিছু তথ্য।

১। পরিবেশের পার্থক্যের কারণে অনেক সময় ছোটদের বা শিশুদের চোখে পানি আসে। এমনও হয় কান্নার ধরনও পাল্টে যায়।

২। একজন ডাচ গবেষক সমীক্ষা করে দেখেছেন, পাশ্চাত্য দেশগুলি, যেখানে মহিলারা সমাজের উঁচু তলায় বাস করেন এবং যাদের মানবাধিকার তৃতীয় বিশ্বের দেশে বসবাসকারী মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি, তারা কাঁদেনও বেশি।

৩। কান্না তিন রকমের হয় :

বেসাল টিয়ার : যেটা আপনার চোখকে পরিষ্কার রাখে এবং চোখের লুব্রিকেশনের মাত্রা ঠিক রাখে।

রিফ্লেক্স টিয়ার : পেঁয়াজ কাটার সময় বা চোখে কিছু একটা হঠাৎ ঢুকলে এই কান্না বের হয়।

ইমোশনাল টিয়ার : ব্যাখ্যা নিষ্প্রয়োজন।

৪। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু মানুষ স্বাভাবিক কারণেই অন্যদের তুলনায় বেশি কাঁদেন।

৫। অনেক সময় স্নায়বিক কারণে কান্না বা হাসি থামতে চায় না। যদি এমনটা হয়, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এটা স্ট্রোক, অ্যালঝাইমার্স, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস-এর লক্ষণ হতে পারে।

৬। কান্নার তিনটি লেয়ার বা স্তর থাকে: লিপিড লেয়ার, অ্যাকিউয়াস লেয়ার এবং মিউকাস লেয়ার। যার কারণে কান্নার ধরণ ভিন্ন ভিন্ন হয়।

৭। মুখের লালা যে কম্পোজিশনে তৈরি হয়, সেই একই কম্পোজিশনে চোখের পানিও তৈরি হয়। অর্থাৎ এই দুয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

৮। কাঁদলে স্ট্রেস হরমোন শরীর থেকে বেরিয়ে যায় এবং এন্ডরফিন বা যেটাকে ‘ফিল গুড’ হরমোন বলা হয় তা শরীরে নির্গত হয়। এ জন্যই বোধ হয় বলে, কাঁদলে মন হাল্কা হয়।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G