জামায়াতের ৫ নেতার বিরুদ্ধে আদেশ ৩ মার্চ

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫ সময়ঃ ৩:৪২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:৪৮ অপরাহ্ণ

আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম

lawবিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করায় আইনজীবী তাজুল ইসলাম ও জামায়াত-শিবিরের পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে করা রুলের আদেশ আগামী ৩ মার্চ দেওয়া হবে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নের্তৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ আদেশের জন্য এই দিন ধার্য করেছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এ টি এম আজহারুল ইসলামের রায়ের পর ডাকা হরতাল এবং রায় নিয়ে মন্তব্য করায় তিন জামায়াত নেতা, দুই শিবির নেতা এবং এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করে প্রসিকিউশন।

অভিযুক্ত জামায়াত ও ছাত্রশিবির নেতারা হচ্ছেন- জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ড. শফিকুর রহমান, ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল জব্বার ও সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুর রহমান।

আদালতে আসামীদের পক্ষে গাজী টি এইচ তামিম শুনানির জন্য আট সপ্তাহের সময় আবেদন করেন। আদালত তার আবেদন খারিজ করে দিয়ে আগামী তিন মার্চ আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

একই সঙ্গে আদালত আইনজীবীকে বলেছেন, যদি এই সময়ের মধ্যে তিনি তার মক্কেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন, তাহলে ওই দিন শুনানি করতে পারবেন।

এক জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার বরাবর ৪৯ পৃষ্ঠার এ সব অভিযোগ লিখিত আকারে জমা দেওয়া হয়।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আজহারের আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন যে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়েছেন, সেটা গ্রহণ না করে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা হলেই সুবিচার হতো।’

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ডিফেন্সের যে সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছে তা এক ‘অষ্টম আশ্চর্যজনক ঘটনা’ বলেও মন্তব্য করেন তাজুল।

এ সব সাক্ষ্য-প্রমাণে মৃত্যুদণ্ড হওয়া দূরের কথা, এ সব অভিযোগ দাখিলের জন্য প্রসিকিউশনের জরিমানা হওয়া দরকার ছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ ব্যাপারে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজহারের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন যে সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়েছেন, সেটা গ্রহণ না করে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলা হলেই সুবিচার হতো’ তাজুলের এমন বক্তব্যে আদালত অবমাননা হয়েছে।

তাজুল জামায়াত-শিবিরের প্রপাগান্ডা হিসেবে কাজ করছেন এবং ট্রাইব্যুনালের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য অপবাদ ছড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ৩১ ডিসেম্বর তাজুলের বক্তব্যের বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল-১ এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

প্রসিকিউটর মালুম আরও জানান, জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারের রায়ের পর আসামী পক্ষ থেকে তাজুল ইসলাম যে বক্তব্য, অঙ্গভঙ্গি ও শব্দচয়ন করেছেন তা মোটেও আইনজীবীসুলভ ছিল না।

এ অভিযোগ শুনে প্রসিকিউশনকে লিখিত অভিযোগ দাখিল করার পরামর্শ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে তাজুল ইসলাম, জামায়াতের আমিরসহ তিন নেতা ও ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।

প্রতিক্ষণ /এডি/বাবর

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G