জিকায় আক্রান্ত হতে পারে প্রায় ৪০ লক্ষ

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২৯, ২০১৬ সময়ঃ ৯:৫৩ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:২৯ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

uyyuuyআগামী এক বছরে উত্তর এবং দক্ষিণ অ্যামেরিকার দেশগুলোতে জিকা ভাইরাসে ত্রিশ থেকে চল্লিশ লাখ পর্যন্ত মানুষ আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির চিন্তাভাবনা করছে সংস্থাটি।

ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক ড. মার্গারেট চ্যান বলেন, শঙ্কার মাত্রা ‘অতিমাত্রায় বেশি’। গত বছর আমেরিকায় (দক্ষিণ আমেরিকা) ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। এটা এখন বিস্ফোরকের মতো ছড়াচ্ছে। এখন পর্যন্ত ঐ অঞ্চলের ২৩টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে গেছে। জিকা ভাইরাসের আগমনের পর থেকে কিছু অঞ্চলে অস্বাভাবিক মাথা নিয়ে জন্ম হওয়া শিশুর সংখ্যা ব্যাপকভাবে বেড়েছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, আগস্টে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক গেমসের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সব রকম চেষ্টাই করা হবে।

yuyuyuমশা-বাহিত জিকা ভাইরাস দ্বারা গর্ভবতী মায়েরা আক্রান্ত হলে শিশু বিকৃত মস্তিষ্ক নিয়ে জন্মাতে পারে। কিন্তু তার কোন উপসর্গ আগে থেকে দেখা যাবে না। এদিকে গবেষকেরা বলছেন, ব্যবহারের উপযোগী একটি প্রতিষেধক তৈরি করে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে অন্তত দশ বছর সময় লাগতে পারে। এসব কারণে গত কয়েকদিন ধরেই বিশ্বজুড়ে এক আতঙ্কের নামে পরিণত হয়েছে জিকা ভাইরাস।

প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালে আফ্রিকার উগান্ডায় সর্বপ্রথম জিকা ভাইরাস ধরা পড়ে। কিন্তু এ বছরের ন্যায় ভাইরাসটি কখনও মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। দক্ষিণ আমেরিকায় জিকা ভাইরাস প্রথম দেখা দেয় ২০১৫ সালে। ঐ বছরের মে মাসে দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিলে প্রথম ভাইরাসটি দেখা দেয়।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G