জিয়ার মরণোত্তর বিচার চান তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশঃ জুলাই ২১, ২০১৫ সময়ঃ ৭:২০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:২০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

inuতথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার চেয়েছেন । সাথে সাথে যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে চিরতরে বিতাড়নের জন্য রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরের ৩৯তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল কার্যালয়ে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ দাবি ও আহ্বান জানান মন্ত্রী। মঙ্গলবার বিকেলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জেনারেল জিয়া তার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ১৯৭৬ সালের এই দিনে আদর্শবান মুক্তিযোদ্ধা তাহেরকে হত্যা করেন। বীর উত্তম কর্নেল তাহেরকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করার সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের খলনায়ক জিয়াউর রহমানসহ সকল হত্যা-খুনের অপরাধীদের মরণোত্তর বিচারের ব্যবস্থা করার জন্য নিজের এবং জাসদের পক্ষ থেকে দেশবাসী ও সকল সংসদ সদস্যের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

মন্ত্রী এ সময় বিশ্বের অন্যান্য দেশে এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের জন্য প্রচলিত মরণোত্তর বিচার ব্যবস্থার উদাহরণ তুলে ধরেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির আমদানী, যুদ্ধাপরাধী-রাজাকারদের পুনর্বাসন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে খাটো করা, ইতিহাসবিকৃতি, বঙ্গবন্ধু ও গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানোর গভীর ষড়যন্ত্র চরিতার্থ করতে জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে অন্যায়ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছেন। কিন্তু কর্নেল তাহের আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেলেও জেনারেল জিয়া তার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি।’

ইনু আরো বলেন, ‘গোপন বিচারে দেশপ্রেমিক কর্নেল তাহেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা যে অন্যায় ছিল এবং জেনারেল জিয়া যে একজন ঠাণ্ডামাথার খুনি, আদালতের রায়ে তা আজ সুস্পষ্ট। জিয়া এবং তার উত্তরসূরীরা ক্যান্টনমেন্টকে কসাইখানা বানিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে হত্যার জঘন্য অপচেষ্টা করেছেন, আগুনসন্ত্রাস করে মানুষ হত্যা করেছেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জেনারেল জিয়ার সেই চক্রান্তের জাল আর সামরিক শাসন-সাম্প্রদায়িক-আগুনসন্ত্রাসের জঞ্জাল থেকে দেশকে মুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক ধারায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথে রাজনীতির খলনায়ক জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরী আগুনসন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদীদের সঙ্গে কোনো ছাড় বা আপোসের সুযোগ নেই।’

যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদী অপশক্তির দিকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হয় ওরা থাকবে, না হয় আমরা। আর মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া বাংলাদেশে আমাদেরই বিজয় হবে।’রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তুলে যুদ্ধাপরাধী-জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে চিরতরে বিতাড়নের মাধ্যমে কর্ণেল তাহেরসহ সকল বীরকে স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনার উদাত্ত আহ্বান জানান হাসানুল হক ইনু।

জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি শিরিন আকতার, কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নূরুল আম্বিয়া, জাতীয় নারীজোটের সভাপতি আফরোজা হক রীনা, জাসদ মহানগরের প্রধান সমন্বয়ক মীর হোসেন আখতার, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সামছুল ইসলাম সুমন প্রমুখ তাদের আলোচনায় কর্নেল তাহেরের ত্যাগ ও বিপ্লবী আদর্শ তুলে ধরেন।

প্রতিক্ষন/এডি/মেহেদী

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G