হায়রে বীর চট্টলা
আজ একী হয়েছে তোমার হাল?
ইতিহাসের পাতায় তুমি স্বর্ণাক্ষর
গর্বের ধন আর যুগসৃষ্টির সূচনাকাল
কোথায় সেই প্রীতিলতা, কোথায় সেই সূর্যসেন?
রাগ নেই, ক্ষোভ নেই, প্রতিবাদী মন নেই!
বলুনতো, এ কি সেই সংগ্রামী চট্টলা?
‘এত অবাক হবার কী আছেরে ভাই?
নিত্যদিনটাই যেখানে যাচ্ছেতাই’!
অনিয়ম দেখে দেখে ক্লান্ত আমরা;
সেখানে এবার অতি বৃষ্টিও করে হামলা!
তবু ভুল করে কভু ঠুকবো না কোনো মামলা!
বড়-বড় বেশি ক্লান্ত গো আমরা।
সূর্যসেন-প্রীতিলতা জাগবে না কেউ।
বলবে না ,‘কে আছো, রুখো এই ঢেউ’।
‘মুর্খের দল, যেমনি আছিস তেমনি করেই চল।
স্বপ্ন দেখিস এর চেয়ে বেশি, কী সত্যি করে বল’?
‘নাগো, আমরা মোটেই ভাবছি না তা।
এইতো আছি বেশ।
খাচ্চি, দাচ্ছি, ঘুরছি, ফিরছি;
কখনও বা সেলফি তুলছি।
এবার ভাবছি, বসে থেকে আর লাভ নেই।
ঘরে পড়ে থাকা পুরোনো কাঁথাকে;
গেঁথে তুলবো নকশী কাঁথায়।
সবাই জানবে পুরো কাঁথা জুড়ে নকশার খেলা’।
‘সাবাস, প্রিয় চট্টলার সংগ্রামী চ্যালা।
প্রয়োজনে জলসমুদ্রে গাড়ি নয়, চলবে ভেলা’।
‘একি হেলা একি হেলা।
পানিতে চলবে ভেলা?
মনে মনে বলি,
এর চেয়ে ভালো পানির নিচেই তলিয়ে যাক
সমস্ত জঞ্জাল আর জমে থাকা অজস্র অবহেলা’।
‘জেগে ওঠো হে চট্টলাবাসী।
ঘুমিয়ে থাকার সময় হয়েছে গত’।