ক্রীড়া ডেস্ক
ম্যাচটা আসলে ১ আর ২১ নম্বরের মধ্যে হয়েছে। সেটাও কাগজে – কলমে। কাতার বিশ্বকাপে শুরু থেকেই বড় দল গুলোকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে ছোট সারির দল গুলো। আজ মধ্য রাতে ব্রাজিলেরও সেই একই দশা হয়েছিল। প্রধমার্ধে কষ্ট হলেও দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের জাত চিনিয়ে ২-০ গোলে জয় নিয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছে ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনা আর জার্মানি হেরে গেছে, সে পথে অবশ্য যায়নি নেইমারের দল ব্রাজিল। তবে এটা ঠিক যে, কষ্টের জয় যাকে বলে সেটাই আজ র্যাঙ্কিংয়ে ২১তম দল সার্বিয়া হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছে ফিফার র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বর ব্রাজিলকে। জয় পেলেও ব্রাজিলের তারকা নেইমার গোল পেলেন না ভাগ্য সমর্থন দেয়নি তাই।
ম্যাচের প্রথমার্ধে ব্রাজিল গোলের দেখা পেতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু সার্বিয়ান ডিফেন্স যেন পাথরের তৈরি কোন দেয়াল মনে হলো। কারণ ব্রাজিলের মুহু মহু আক্রমন বার বার সার্বিয়ান গোলরক্ষক না হয় কোন ডিফেন্ডার বিফল করে দিচ্ছে। গোল যেন ব্রাজিলের কাছে মরিচিকার নাম। ম্যাচের প্রধমার্ধে টানা কয়েকটি কর্নারও কাজে লাগাতে দেয়নি সার্বিয়ান ডিফেন্স। বার বার ব্রাজিলের দূর পাল্লার শট গুলো মাথার উপর দিয়ে না হয় গোল পোষ্টের বাইরে দিয়ে চলে গেল। এভাবেই শেষ হলো প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিট।
গোলশূণ্য ব্রাজিল দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠল। কখনও ঝটিকা আক্রমণে আবার কখনও একক না হয় যৌথ। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ব্রাজিলের ৬ নম্বর জার্সিধারি এ্যালেক্স সেন্ডো-র কিক গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও বার পোষ্টে আঘাত করে ফিরে আসে, নিশ্চিত গোল মিস।
এরপরই যেন বদলে গেল ব্রাজিলের চেহারা। ৬২ মিনিটে মিডফিল্ডার ৯ নম্বর জার্সিধারি রিকারুসন জটলা থেকে বল জালে আশ্রয় নিতে বাধ্য করলেন (১-০)। এরপর কয়েক বার সার্বিয়া পাল্টা আক্রমণে যায়। কিন্তু তাতে সফল হয়নি। উল্টো ম্যাচের ৭৩ মিনিটে সেই রিকারুসন যা করলেন তা এবারের বিশ্বকাপের সেরা দৃশ্য বলতেই হবে।
ডান দিক থেকে ক্রস করা পাস বাতাসে ভেসে ছিল পোষ্টের সামনে। রিকারুসন বল রিসিভ করলেন সার্বিয়ার গোল পোষ্টের দিকে পিঠ দিয়ে এক পায়ে আর ঘুরে শূণ্যে ভেসে ডি-বক্সের ভেতর থেকে কিক নিলে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় ব্রাজিল (২-০)। ৮০ মিনিটে যদি আবারো বল পোষ্টে লেগে ফেরত না আসত তাহলে গোলের সংখ্যা বেড়ে যেত।