আসলেন, দেখলেন এবং চলে গেলেন

প্রকাশঃ অক্টোবর ৪, ২০১৫ সময়ঃ ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ

জেলা প্রতিবেদক

japanজাপানি নাগরিক হোসি কোনিও দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ সুপারের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি দূতাবাস কর্মকর্তারা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন শনিবার রাতে।

পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হোসি কোনিওর লাশ দেখেন এবং আলামত সংগ্রহ করেন। তবে এ ব্যাপারে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

অন্যদিকে, রাজশাহী থেকে আসা সিআইডি পুলিশের একটি দল গভীর রাত পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। দলটি জাপানি দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে হাসপাতালের হিমঘরে গেলেও তারা তদন্তের অগ্রগতি ও অন্যান্য বিষয়ে কোনো কথাই বলেননি।

এর আগে ঢাকা থেকে সড়কপথে জাপানি দূতাবাসের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কিনজুর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল রংপুরে এসে রাত সোয়া ১০টার সময় জেলা পুলিশ সুপার আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় দেড়ঘণ্টা ধরে জাপানি দূতাবাসের কর্মকর্তারা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন পুলিশ সুপারের সঙ্গে। সেখান থেকে বের হয়ে সরাসরি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তারা। সেখানে হিমঘরে রাখা হোসি কোনিওর লাশ পরীক্ষা করেন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আসা দুই জাপানি চিকিৎসক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

তারা বুকে, কাঁধে ও হাতে যেসব স্থানে গুলি করে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সেসব স্থান দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ করেন। বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করে প্রতিনিধিদলটি অপেক্ষামান সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই রাত সোয়া ১টার দিকে হাসপাতাল ত্যাগ করে।

প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G