তিন পদ্ধতিতে হত ফেসবুক আইডি হ্যাক

প্রকাশঃ জুলাই ২৯, ২০১৫ সময়ঃ ৮:০৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:০৮ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

FFFFFFFFFFFফেসবুক হ্যাকার মাহমুদুল হাসান (২০) ফিশিং, কি-লগার প্রোগ্রাম ও সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন নারীর ফেসবুক আইডি হ্যাক করত। এরপর হ্যাক করা এ্যাকাউন্ট থেকে একান্ত ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য নিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে অশালীন প্রস্তাব দেওয়াসহ নানা ধরনের ব্লাকমেইল করত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব তথ্য জানান। সম্প্রতি এক মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এর আগে, রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকা থেকে ফেসবুক হ্যাকার মাহমুদুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার কাছে থেকে একটি কম্পিউটার ও একটি মোবাইল সেট জব্দ করা হয। মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার মাহমুদুল জানায়, সে ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞ মাহমুদুল হাসান, ফিশিং, কি-লগার প্রোগ্রাম ও সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে থাকে। মনিরুল ইসলাম আরও জানান, ফিশিং পদ্ধতিতে হ্যাকার মাহমুদুল নারীদের আইডি টার্গেট করে তাদের ওয়ালে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দিত। পরে কেউ ওই লিংকে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে হ্যাকার ওই আইডির পাসওয়ার্ডসহ সব তথ্য পেয়ে যেত।

কি-লগার সম্পর্কে মনিরুল বলেন, এ পদ্ধতিতে মাহমুদুল টার্গেট করা নারীদের ওয়ালে বিভিন্ন লিংক পাঠাত। এ সব লিংকে ক্লিক করলে পুনরায় ফেইসবুক আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রেস করতে বলা হত। যারা সরল বিশ্বাসে আইডি ও পাসওয়ার্ড প্রেস করত তাদের পাসওয়ার্ডও ওই হ্যাকার পেয়ে যেত। এ ছাড়া সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন এ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেও আইডি হ্যাকড করে আসছিল মাহমুদুল। হ্যাকার মাহমুদুল একটি একাউন্ট হ্যাকড করার পর ওই আইডির লিস্টে থাকা বন্ধুদের বাছাই করে তাদের একাউন্টও হ্যাক করত।
মনিরুল ইসলাম জানান, ফেসবুক আইডি হ্যাকড হওয়ার পর ওই ভুক্তভোগী নতুন আইডি খুললে তার সঙ্গে ফেসবুক চ্যাট করার মাধ্যমে হ্যাকার যোগযোগ করত। আগের হ্যাকড করা আইডি থেকে নেওয়া ব্যক্তিগত ছবি ও তথ্য নতুন আইডির চ্যাট বক্সে পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করত।

মনিরুল ইসলাম জানান, মাহমুদুল হাসান হ্যাক করা এ্যাকাউন্ট হতে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে চ্যাট করত। এ ছাড়া ফেসবুক চ্যাটের মাধ্যমে হ্যাকড করা এ্যাকাউন্ট থেকে ভুক্তভোগী একান্ত ব্যক্তিগত ছবি বা তথ্য পাঠিয়ে তার সঙ্গে অশালীন সম্পর্ক করার প্রস্তাব দিত। প্রস্তাবে রাজি না হলে ওই ছবিগুলো ফেসবুকসহ সোস্যাল মিডিয়ায় আপলোড করারও হুমকি দিত। মাহমুদুল হাসান এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ব্যবহারকারীর ফেসবুক পাসওয়ার্ড হ্যাকড করেছে বলে মনিরুল ইসলাম জানান।

তবে মাহমুদ দাবি করেন, শখের বসে দু‘একটি ফেসবুক আইডি হ্যাক করেছেন তিনি। কারও কাছে কোনো টাকা পয়সা অথবা অবৈধ সম্পর্কের জন্য ফেসবুক হ্যাক করিনি। আমি পারি কি-না, তা যাচাই করতেই ফেসবুক হ্যাক করেছি।
প্রতিক্ষণ/ডেস্ক/তাফসির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G