ক্রীড়া প্রতিবেদক
দাম্পত্য অধিকার ফিরে পেতে তৃতীয় বারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্ত্রী ইসরাত জাহান। আদালত মামলা গ্রহণ করে আল আমিনকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেছেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর আল আমিনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভিন্ন দুটি ধারায় মামলা করেছিলেন ইসরাত। এরপর আবার দ্বিতীয় বার ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিনের আদালতে একই অভিযোগে আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন ইসরাত।
আজ ঢাকার প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ বেগম কানিজ তানিয়া রূপার আদালতে বুধবার (১৬ নভেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন ইসরাত জাহান।
আদালত মামলা আমলে নিয়ে তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। আদেশ মেনে গত ২৭ সেপ্টেম্বর আল আমিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। সেদিন শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।
জামিনের এক মাস পর আবার তার বিরুদ্ধে দাম্পত্য অধিকার ফিরে পেতে মামলা করলেন আল-আমিনের স্ত্রী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আল-আমিন পরকীয়ায় আসক্তির কারণে তার দুই সন্তান ও স্ত্রীকে লেখাপড়া ও ভরণপোষণ দেন না। একজন নারীর সঙ্গে তোলা ছবি ইসরাত জাহানকে পাঠিয়ে তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানান।
তারপর থেকে ২ বছর ধরে কোনো প্রকার খোঁজ নেন না। পিতা-মাতার প্ররোচনায় আল আমিন তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন বলেও মামলার অভিযোগে জানানো হয়। তালাকের সংবাদ পেয়ে তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ব্যর্থ হন। আল আমিন ছাড়া তাদের সংসার জীবন অন্তঃসারশূন্য। এমতাবস্থায় তিনি দাম্পত্য জীবন ফিরে পেতে এ মামলা দায়ের করেন বলে জানান ইসরাত।
এদিকে স্ত্রীর অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন আল আমিন। সবশেষ গত ৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন তিনি। দাবি করেন পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে ক্যারিয়ার ধ্বংস করাই ছিল তার স্ত্রীর উদ্দেশ্য।