দক্ষিণ আমেরিকায় পৌঁছালো চীনের সিনোভ্যাকের ৫০ হাজার কোভিড ভ্যাকসিন। সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন কোটি ফুটবলপ্রেমিদের প্রিয় ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। কনমেবল অঞ্চলের আসন্ন টুর্নামেন্টগুলোকে সামনে রেখে এ ভ্যাকসিন দেয়া হবে দক্ষিণ আমেরিকার ১০ দেশের ফুটবলারদের। এই ভ্যাকসিন পাওয়ায় কোপা আমেরিকাসহ ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলো নির্বিঘ্নে আয়োজন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন কনমেবল সভাপতি আলেজান্দ্রো ডমিনগুয়েজ।
করোনা ভয়াবহতা যেনো থামছেই না। গেলো ক’মাসে বিভিন্ন দেশে বেড়েছে এর প্রকোপ। দক্ষিণ আমেরিকাতেও করোনার সংক্রমণ উর্ধ্বগামী।
মহাদেশটিতে সবচেয়ে বেশী সংক্রমণ ব্রাজিলে। এরপরই তালিকায় আছে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া। যে দেশদুটিতে এ বছর অনুষ্ঠিত হবার কথা কোপা আমেরিকা। নির্বিঘ্নে টুর্নামেন্টগুলো আয়োজন করতে এগিয়ে আসেন লিওনেল মেসি। দূতিয়ালী করেন দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলারদের ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে।
তার জার্সির বিনিময়ে ৫০ হাজার ভ্যাকসিন দিতে সম্মত হয় চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক। যা এরই মধ্যে পৌঁছে গেছে উরুগুয়েতে। যেখান থেকে তা চলে যাবে দক্ষিণ আমেরিকার ১০ দেশে। দ্রুতই ফুটবলারদের ভ্যাকসিনের আওতায় এনে আসন্ন ফুটবল টুর্নামেন্টগুলো আয়োজনের আশা কনমেবল সভাপতির।
কনমেবল সভাপতি আলেজান্দ্রো ডমিনগুয়েজ বলেন, ‘আমাদের এ বছর কোপা আমেরিকা আয়োজনের কথা আছে। এ বিষয়ে আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়ার সরকারের সাথেও আমাদের চুক্তি হয়েছে। আশা করছি এই ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আমরা ফুটবলারদের করোনামুক্ত রাখতে পারবো। শুধু কোপা আমেরিকা না, আমাদের মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট আয়োজনও অনেক সহজ হয়ে যাবে।’
কোপা আমেরিকা ছাড়াও, কাতার বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচও আছে এ বছর। এছাড়াও আছে কোপা লিবার্তাদোরেস ও কোপা সুদামেরিকানার খেলাও। দক্ষিণ আমেরিকার ১০টি দেশে দেয়া হবে ৫০০০ হাজার করে ভ্যাকসিন। যা সেই দেশগুলোর ফুটবল ফেডারেশনের মাধ্যমে দেয়া হবে ফুটবলারদের। এ বছরের ১৩ জুন শুরু হবার কথা কোপা আমেরিকা। যা চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই