দেখে নিন পৃথিবীর আয়না
প্রতিক্ষন ডেস্ক
আয়না বলতে আমরা সেই জিনিসটাকে বুঝি যাতে কোন কিছুর প্রতিচ্ছবি দেখা যায়। আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের চেহারাখানা ঠিকঠাক রাখার জন্য এই আয়নার সামনে দাড়াই। আমাদের ছোট একটা প্রণীর যদি আয়নার প্রয়োজন হয়। তবে অপরূপা এই পৃথিবীর কেন নয়।
তাইতো এই পৃথিবীরও রয়েছে সুবিশাল এক আয়না। আসলে এ আয়না আমদের আয়নার ন্যায় কাচ দিয়ে তৈরী নয়। এটি লবনের তৈরী। একটু অবাক হলেন? বলছিলাম পৃথিবীর আয়না খ্যাত বলিভিয়ার সালার ডি ইউনিয় (Salar de Uyuni) বা লবেনের সমতল ভূমির কথা।
এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম লবনের সমতল ভূমি। যা প্রায় ১০ হাজার ৫ শত ৮২ বর্গ কিলোমিটার বা ৪ হাজার ৪৬ বর্গ মাইল এলাকা জুড়ে অবস্থিত।
এই সুবিশাল অঞ্চল বলিভিয়ার দক্ষিণ পশ্চিম দিকে পোতোসি ও ওরুরো বিভাগে অবস্থিত। যা আন্দিজের নিকটে সমুদ্রসীমা থেকে প্রায় ১১ হাজার ৯ শত ৯৫ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সালার বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক হৃদের রুপান্তরের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। এই হৃদগুলো কয়েকমিটার লবনের স্তরে আবৃত হয়ে আছে।
এটি বলিভিয়ার লবনের প্রধান উৎস, এমনকি এটি অত্যান্ত লিথিয়াম, পটাশিয়াম,সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ এলাকা। এখানে পৃথিবীর লিথিয়ামের প্রায় ৫০-৭০ভাগ মজুদ রয়েছে,যা এখনো নিষ্কাশনের প্রক্রিয়াধীন। এর অনন্য সমতল ভূমি সালারকে স্যাটেলাইট থেকে পৃথিবীর উচ্চতার ক্রমাঙ্ক পরিমাপের জন্য আদর্শ ভূতল হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এখানে গেলে আপনার মনে হবে আকাশ আর পৃথিবীর বুক যেন এক সাথে মিশে যেতে চাইছে। হালকা স্যাতসেতে থাকার সময় এটিতে সবকিছুই দেখা যায় এমনকি আকাশের মেঘ আর চাঁদও।
স্থানটি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় ওয়ে উঠছে। বর্তমানে এখানে হাজার হাজার লোক জড় হন পৃথিবীর আয়নাতে নিজের মুখটিও দেখে নিতে।
প্রতিক্ষণ/এডি/বিএ