ধর্মের নামে সন্ত্রাস চলতে দেয়া হবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্মের নামে কোনো ধরণের সন্ত্রাস চলতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় হত্যাকান্ড এবং তার দায় স্বীকার করে আল কায়দার বিবৃতির প্রেক্ষাপটে শনিবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এই হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম, ধর্মকেও কলুষিত করে যাচ্ছে যারা, তারা ধর্মে বিশ্বাস করতে পারে না। তারা নিজেদের মুসলমান হিসেবে কীভাবে ঘোষণা দেবে? বাংলাদেশে এটা চলতে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। কাজেই সেই স্বাধীনতার চেতনাটা আমাদের সমুন্নত রাখতে হবে।”
সাম্প্রতিক বিশ্বে ধর্মীয় জঙ্গিবাদের ছোবলের দৃষ্টান্ত টেনে তিনি বলেন, “কিন্তু দুঃখ হয় যখন দেখি, আজকে সৌদি আরবে মসজিদে জুম্মার নামাজের দিন সুইসাইড স্কোয়াড দিয়ে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা হল। এরা কি মুসলমান ? এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে হত্যা করে আর তারা আত্মহনের পথ বেছে নেয়, তারা কি করে মুসলমান হয়? কোন ধর্ম তারা রক্ষা করে? ”এ হানাহানি, রক্তারক্তি কার জন্যে, কার স্বার্থে? কোন ধর্মের মর্যাদা রক্ষার জন্য? জানি না, এ প্রশ্নের উত্তর কখনো কেউ দিতে পারবে কি না?”
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৫তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শেখ হাসিনা শিশু নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, “আজকে বাংলাদেশের যে শিশু নির্যাতন, আমি জানি না আমাদের বাঙালির ভেতরে কী ধরনের একটা অদ্ভুত মানসিকতা আছে। একটা ঘটনা ঘটলে প্রবলভাবে যখন প্রচার পায়, তখন সেই ঘটনা আরও ঘটাবার একটা প্রবণতা আমরা দেখি। এদের শাস্তি দিয়ে মানুষকে দেখাতে হবে যে এই অপরাধ করলে কাউকে রেহাই দেওয়া হবে না।”
শিশু নির্যাতনের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরিবারের সবার সঙ্গে ছোট ভাই ১০ বছরের শেখ রাসেলকে হারানোর কথাও স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
“ওই হত্যার যদি বিচার হত, তাহলে একটা দৃষ্টান্তের সৃষ্টি হত। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নানা ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন মেয়ে শেখ হাসিনা।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির