নওগাঁয় সীমান্তে বাঁধ নির্মানে বিএসএফ’র বাধা

প্রকাশঃ এপ্রিল ২০, ২০১৭ সময়ঃ ৫:৫৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৫৩ অপরাহ্ণ

নয়ন বাবু, নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁ জেলার সাপাহার সীমান্তবর্তী পুনর্ভবা নদীর বাম তীর প্রতিরক্ষামুলক বাঁধ নির্মানে ব্লক বসানোর কাজে বিএসএফ বাধা দিয়েছে। এতে প্রায় ৬ কোটি টাকার প্রকল্প অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের চুক্তি মোতাবেক ব্লক নির্মান শেষে চলতি এপ্রিলের প্রথম তারিখে সীমান্তের পুনর্ভবা নদীর বাম তীর সংরক্ষনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্লক বসানোর কাজে তাদের ড্রেজার মেশিন নিয়ে গেলে ভারতের রাঙ্গামাটি বিএসএফ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার এসে তাতে বাধা প্রদান করেন। এসময় ঠিকাদারের লোকজন তাকে চুক্তির কাগজপত্র দেখালেও তিনি ওপরের অর্ডার নেই বলে ব্লক বসানোর কাজ বন্ধ করে দেন।

জানা গেছে, গত ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ভারতের কলকাতায় ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নদী কমিশনের কারিগরী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর স্থানীয় এমপি সাধন চন্দ্র মজুমদার নদীর প্রতিরক্ষামুলক কাজের উদ্বোধন করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে দুই বছর মেয়াদে সাপাহার উপজেলাধীন সীমান্ত নদী পুনর্ভবার বাম তীর ৭২০ মিঃ এলাকা সংরক্ষনের জন্য সেই থেকে দিনাজপুরের এম,পি,টি-এম,ই,এইচ(জেভী) ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠান নদীর তীর এলাকায় ব্লক তৈরীর কাজ আরম্ভ করে।

বর্তমানে ব্লক তৈরীর কাজ প্রায় শেষ করে ১ এপ্রিল তারা নদীর তীর সংরক্ষনে ব্লক বসানোর জন্য ড্রেজার মেশিন নিয়ে নদী এলাকায় গেলে বিএসএফ সদস্যরা এসে তাতে বাধা দেন। ফলে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ এখন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। ঠিকাদারী সংস্থার পক্ষে মিঃ কনক বলেন, ড্রেজার মেশিন ও তার লোকজনদের বসে রাখায় তাদের এখন প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। এছাড়া আর কয়েক মাস পরেই শুরু হবে বর্ষাকাল। বর্ষা এলে কোন মতেই আর ব্লক বসানো যাবে না। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হয়তো নদীর জলেই ব্লক ভাসিয়ে কাজের সমাপ্তি করবেন। এতে যেমন উন্নয়নের কোন কাজই হবে না, ঠিক তেমনভাবেই সরকারের কোটি কোটি টাকা ভেসে যাবে নদীর জলে।

এ বিষয়ে সীমান্তের দায়িত্বে নিয়োজিত বিজিবি পত্নীতলা ১৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃকর্ণেল আলী রেজা জানান, বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার কিছুই নেই। সীমান্ত এলাকায় কাজ করতে গেলে অনেক ধরা বাধা নিয়মনীতি থাকে। তারই সুত্র ধরে বিএসএফ সদস্যরা হয়ত নিষেধ করেছে। এ বিষয়ে দুই দেশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র রয়েছে বিধায় অচিরেই ব্লক বসানো কাজ শুরু হবে।

প্রতিক্ষণ/এডি/সাই

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G