নিউট্রন তারার সংঘর্ষে সোনার উৎপত্তি
বিজ্ঞান ডেস্ক
পৃথিবীতে যে সকল সোনার খনি রয়েছে সেগুলোর উৎপত্তি নিউট্রন তারার সংঘর্ষের ফলে নিঃশেষিত নক্ষত্রের মৃত কেন্দ্র থেকে। এমনটাই জানিয়েছে গবেষকরা।
সোনা পৃথিবী এবং মহাবিশ্বে একটি দুর্লভ ধাতু। কার্বন বা লোহার মতো এটি নক্ষত্রের মধ্যে সৃষ্টি হয় না। বিজ্ঞানীদের মতে এটি অবশ্যই সৃষ্টি হয় আকস্মাৎ কোন ঘটনার মধ্য দিয়ে। যেমন গত মাসে ঘটেছিল শর্ট গামা-রশ্মি বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণ পর্যবেক্ষণ থেকে যে প্রমানাদি মিলেছে তা দুটি নিউট্রন তারার সংঘর্ষের ইঙ্গিত বহন করে। তারা আরও জানান, বিস্ফোরণ স্থলে অনন্য রক্তিমাভার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সোনা সহ অন্যান্য ভারী ধাতুর প্রাচুর্যতা প্রমান করে।
হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স এর গবেষণা প্রধান এডো বার্গার জানান, “আমরা আনুমানিকভাবে হিসেব করে বলতে পারি দুটি নিউট্রন তারার পারস্পরিক সংঘর্ষে যে পরিমান সোনা উৎপন্ন ও নির্গত হয় তা প্রায় দশটি চাঁদের ভরের সমান।”
সংবাদ সম্মেলনে বার্গার এই অনুসন্ধানের তথ্য উপস্থাপন করেন। একটি গামা রশ্মি বিস্ফোরণ হল অত্যধিক শক্তিসম্পন্ন বিস্ফোরণ থেকে সৃষ্ট উচ্চ শক্তির আলোক স্ফুরণ, যা মহাবিশ্বের দূরবর্তী অঞ্চলে সংঘঠিত হয়ে থাকে। বার্গার এবং তার সহকর্মীরা পৃথিবী থেকে ৩.৯ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের জিআরবি ১৩০৬০৩বি পর্যবেক্ষণ করেন, যা ছিল সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীর কাছাকাছি অঞ্চলে ঘটে যাওয়া গামা বিস্ফোরণ। বার্গার বলেন, কার্ল সাগানের মতে নক্ষত্র থেকেই আমাদের সকলের জন্ম এবং আমাদের অলঙ্কার সৃষ্টি নক্ষত্রের সংঘাত থেকে। তাদের এই গবেষণা পত্রটি দ্য অ্যস্ট্রোফিজিক্যাল জার্ণাল লেটার্স-এ প্রকাশ করা হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর