নিজেই করুন আমড়ার চাষ
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
আমাদের দেশে আমড়া টক জাতীয় পুষ্টিকর একটি ফল। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আমড়া বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়। যেমন-কাঁচা, পাকা, রান্না করে, আচার, চাটনি ও মোরব্বা ইত্যাদি তৈরি করে। যেভাবেই আমড়া খান না কেন সেটা যদি হয় নিজের গাছের তাহলে তার স্বাদ বলে শেষ করা যাবে না। আর আজ তাই প্রতিক্ষণের পাঠকদের জন কছে আমড়া চাষের পদ্ধতিঃ
মাটি
আমাদের দেশে আমড়া চাষের জন্য গভীর সুনিস্কাশিত, উর্বর, দোঁ-আশ মাটি বেশি উপযোগী।
জমি
আমড়া চাষের জন্য বন্যা মুক্ত উঁচু থেকে মাঝারী উঁচু জমি হলে ভাল হয়।
চারা উৎপাদন
আমড়ার চারা দুই ভাবে উৎপাদন করা যায়।
১. বীজ থেকে চারা তৈরী করা যায়।
২. ফাটল জোড় কলমের মাধ্যমে চারা তৈরি করা যায়।
সময়
আমড়ার চারা রোপনের উপযুক্ত সময় জৈষ্ঠ থেকে আশ্বিন মাস।
মাদা তৈরী
সাধারণত জমিতে আমড়ার চারা মাদা তৈরি করে রোপণ করলে ভাল হয়। এজন্য মাদার আকার হতে হবে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, গভীরতায় ১ মি: করে।
সার প্রয়োগ
মাদা তৈরি করার সময় প্রতি মাদায় পঁচা গোবর সার ১০ কেজি, টিএসপি সার ২০০ গ্রাম ও এমওপি সার ২০০ গ্রাম মিশিয়ে দিতে হবে।
চারা রোপন
মাদা তৈরি করার ১৫-২০ দিন পর মাদার মাঝখানে ১টি সুস্থ্য সবল চারা রোপন করতে হবে।
সেচ ব্যবস্থাপণা
খরা বা শুকনা মৌসুমে কমপক্ষে দুইবার সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিবার সার প্রয়োগের পর সেচ দিলে ভাল হয়।
পরিচর্যা
আমড়া গাছে তেমন পরিচর্য করার দরকার হয় না। তবে চারা রোপনের পর গাছের গোড়ায় পানি, খুটি ও গরু, ছাগলের হাত হতে রক্ষা করার জন্য ঘেড়া বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
ডাল ছাটাই
আমড়া গাছের রোগ-বালাই যুক্ত শুকনো ও মরা ডাল কেটে দিতে হবে। এছাড়াও অপ্রয়োজনীয় ডাল কেটে দিতে হবে।
বালাই ব্যবস্থাপনা
বিটল পোকা
আমড়া গাছে যখন কচি পাতা আসে তখন বিটল পোকার আক্রমণে বেশি দেখা দেয়। বিটল পোকার গ্রাবগুলো হলুদ বর্ণের। আক্রমণ বেশী হলে গাছের সম্পূর্ণ পাতা খেয়ে ঝাজরা করে ফেলে।
প্রতিকার
১.পোকার সংখ্যা কম হলে হাত বাছাই করে মারতে হবে।
২.ছের নিচে ঝড়ে পরা মরা পাতা ও আবর্জনা আগুনের পুড়িয়ে নষ্ট করতে হবে।
৩. এছাড়া কীটনাশক ব্যবহার করে এ পোকা দমনের ব্যবস্থা করতে হবে।
আমড়া গাছে যেকোন রোগ বা পোকার আক্রমন দেখা দিলে তা দমন করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে