নীলফামারীতে প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনের সন্ধান
নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী জেলার জলঢাকায় এই প্রথম প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনের সন্ধান পেয়েছে প্রত্নতত্ত্ব সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৮ থেকে ৯ ফুট পর্যন্ত এর খনন কাজ সম্পন্ন করেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
এর আগে গত শনিবার (১৬ জানুয়ারী)থেকে জলঢাকা উপজেলার গড় ধর্মপাল ইউনিয়নের পূর্ব খেরকাটি নামক স্থানে এর খনন কাজ শুরু করে প্রত্নতত্ত্ববিদরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, স্থানটিতে ১৯৯০ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খনন কাজ পরিচালনা করেছিলেন এ ছাড়া একই সময়ে দণি বাহুতে কয়েকটি স্থানে প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট গভীরে খনন করা হয়েছিল তখন এর কাঠামোটি সু-স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়নি। ধর্মপাল গড়ের দুর্গ প্রাচীরগুলো মাটি দ্বারা তৈরি।
জানা যায়, দীর্ঘ ১৬ বছর পর এর পুনাঙ্গ রূপ দিতে পারল সংশিষ্ট মন্ত্রনালয়টি। জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে জলঢাকা ব্যতিত আর ৫টি উপজেলায় এর কোন চিহ্ন নেই।
স্থানীয়রা ধারনা করছে, প্রায় ৫০০ কিংবা হাজার বছর আগে বৌদ্ধধর্ম ও সনাতন ধর্মীয় পুরোহিতরা এ স্থাপনা নির্মান করেছিলেন।
শত বর্ষি এক বৃদ্ধ রাজকান্ত বলেন, ‘বয়স আমার শত পেরিয়ে গেছে। জন্মের পর থেকে শুনে আসছি প্রাচীনতম রাজারা ধর্মের স্থাপনা নির্মানের জন্য ধর্মপাল নামক স্থানে রাজ্য সভার পরিচালনার কাজ করতেন’।
এছাড়াও খনন এলাকা থেকে ২শত গজ দূরে সবুজপাড়া নামক স্থানে আরেকটি প্রত্নতত্ত্বের সন্ধান মিলেছে। যার খনন কাজ আর কিছুদিনের মধ্যে হতে পারে বলে জানা যায়।
স্থানটিতে পরিদর্শন করেন নীলফামারী-৩ আসনের স্হানিয় এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। এসময় রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা, বগুড়ার মহাস্থানগরের দলনেতা মুজিবুর রহমান, রংপুর জাদুঘরের আবু সাইদ ইনাম, তানভিরুল এসএম হাসনাত বিন ইসলাম, রাজশাহী বিভাগের আফজাল হোসেন, রাজশাহী বিভাগের আলোকচিত্রী আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনের সন্ধান মেলায় সেখানে নেমে এসেছে হাজারো মানুষের ঢল। উৎসুক জনতা নিদর্শণটি একনজর দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/ এল জেড