নীলফামারীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি; ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ বিতরণ
মহিনূল ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধি:
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢল না থাকার কারণে তিস্তানদীর বন্যার বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে। নীলফামারীর ডিমলায় শনিবার দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা নদীর ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
এদিকে ডিমলা উপজেলার তিস্তার নদীর বন্যায় তিনটি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে শনিবার সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। দুপুরে উপজেলার খালিশা চাপানি ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৬৪০জনকে ১০ কেজি করে চাল ও তিস্তার বন্যায় বসতভিটা বিলিন হওয়া ৮টি পরিবারকে ২হাজার করে নগদ টাকা বিতরণ করা হয়। ত্রাণ ও টাকা বিতরণ করেন নীলফামারীর দায়িত্বে থাকা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা মন্ত্রাণালয়ের উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম। এ সময় নীলফামারী জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা এটিএম আক্তারুজ্জামান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন, খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উক্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সোহরাব হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও ট্যাক অফিসার মকবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
একইদিনে একই উপজেলায় টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৫শত পরিবারের মাঝেও ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহীন,উপজেলা বিআরডিপি কর্মকর্তা ও ট্যাক অফিসার আহম্মেদ রাজিউর,প্রোডাকশন ম্যানেজার সুব্রত সরকার পলাশ, ঐ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মিয়ার উদ্দিন। অপরদিকে একই দিনের বিকালে উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নে তিস্তার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ২শত পরিবারের মাঝেও ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা-মোফাচ্ছেল হোসেন, উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইবনে ফয়সাল মুন,সচিব নুরুল হক,ইউপি সদস্য আমজাদ হোসেন, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ও উক্ত ইউনিয়নের সরকারদলীয় মনোণীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ময়নুল হক প্রমুখ ।
নীলফামারী জেলার দায়িত্বে থাকা ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থপনা মন্ত্রানালয়ের উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘তিস্তার বন্যা দুর্গতদের মাঝে সরকারীভাবে ৭০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১লক্ষ টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। সরকারীভাবে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে যখন যা লাগবে দেয়া হবে’।
নীলফামারী জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা এটিএম আক্তারুজ্জামান বলেন, নতুন করে ডিমলা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের জন্য ৮০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লক্ষ টাকা ও জলঢাকা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের জন্য ৫০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে তা বিতরন করা হবে। ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, তিস্তার বন্যার ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য নতুন করে ৮০ মেট্রিক টন চাল ও ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শনিবার বিকাল ৩টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।