পদ্মা-মহানন্দার চরে সবুজের হাসি
জেলা প্রতিনিধি :
পদ্মা ও মহানন্দা নদীর নাব্যতা কমে গেছে। জেগে উঠেছে চর। নদীর পানি তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে নদী দুটির অধিকাংশ এলাকা শুকিয়ে গেছে। শুকিয়ে যাওয়া এসব এলাকায় চলতি মৌসুমে চাষ হচ্ছে বোরো ধান।
পদ্মা ও মহানন্দার মাঝ পথ দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় দুই ধারে সবুজের সমাহারের এখন অপূর্ব দৃশ্য।
পদ্মার রাজশাহী অঞ্চল থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদী পর্যন্ত অন্তত ১৫ হাজার চাষি শ্যালোইঞ্জিন বসিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে সেচ দিয়ে ধানসহ নানা ফসলের চাষ করছেন।
নদী পাড়ের বাসিন্দাদের জীবন ও জীবিকায়। নদীতে পানি না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের হাজার হাজার জেলে ও মাঝি।
বর্তমানে রোপণ পরবর্তী পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নদীর বুকের চাষিরা। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ধান গাছে দেখা দেবে শীষ। তখন সোনালী ঝিলিকে ভরে উঠবে পদ্মা-মহান্দার বুক। এখন নদীর বুকে দোল খাচ্ছে সবুজ ধানের গাছ।
নদীতে ধান চাষে খরচ কম, কিন্তু উৎপাদন বেশি। বরেন্দ্র অঞ্চলে বিঘা প্রতি ধানের উৎপাদন হয় ১৫ থেকে ১৭ মণ। অথচ তুলনামূলক কম সার ও কীটনাশক প্রয়োগেও নদীর বুকে বিঘা প্রতি ধানের উৎপাদন ২০ থেকে ২২ মণ।
ভরা মৌসুমে পানির সঙ্গে নদীতে যে পলি পড়ে, তা ধান খেতে সারের মতো কাজ করে। বাড়তি তেমন সার প্রয়োগ করতে হয় না। এরপরেও জমির ধান দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/নুর