‘পাঠাও’ মোটরসাইকেল দেখলেই মামলা দিচ্ছে পুলিশ
প্রথম দিকে পাঠাও বাইক চালকদের বিষয়ে বিআরটিএ কোনো খোঁজ খবর না নিলেও সম্প্রতি পাঠাও মোটরসাইকেল দেখলেই মামলা করছে পুলিশ।
অনলাইন অ্যাপ ভিত্তিক মোটরসাইকেল যাত্রী সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘পাঠাও’বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ পরিবহন ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিআরটিএ বলছে, এ ধরনের ব্যবসা পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার ভয়ে এখন পাঠাও রাইড দেওয়ার সময় চালকরা যাত্রীদের ‘পুলিশ ধরলে পাঠাওয়ের কথা বলা যাবে না’ জানিয়ে দিচ্ছেন। তবে এরপরেও প্রায় প্রতিদিনই পাঠাও মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা করছে পুলিশ। এ বিষয়ে পাঠাও ইউজারস অব বাংলাদেশ নামের ফেসবুক গ্রুপেও অনেকে কথা বলেছেন।
খন্দকার শাহাদাত নয়ন লিখেছেন, ‘পাঠাও এর ভবিষ্যত কি কেউ বলতে পারেন? কয়েক দিন ধরে খুব ভয়ে ভয়ে রাইড দিচ্ছি। পুলিশের মামলার ভয়ে। পাঠাও কখনও বন্ধ হয়ে যাবে না তো?’
মোয়েন মাহমুদ লিখেছেন, ‘অনতিবিলম্বে নীতিমালা চেঞ্জ করুন। মনে রাখবেন, ঠিকমতো একটা মামলা খাইলে পুরো পাঠাও আর বাইকে থাকবে না সোজা পাঠিয়ে দেওয়া হবে লালঘরে।’
এ বিষয়ে বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক সুব্রত কুমার দেবনাথ বলছেন, বিআরটিএ মোটরসাইকেল নিবন্ধন দেয় শুধু ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য। এটাকে বাণিজ্যিক বাহন হিসেবে ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি মোটরবাইক ভাড়ায় চালায়, তাহলে সেটা বেআইনি কাজ। এ ধরনের অভিযোগ আসলে বা প্রমাণ পেলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
এছাড়া বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে পাঠাও-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট কিশোয়ার আহমেদ হাশমি বলেছেন, ‘বাইক রাইডারদের প্রযুক্তিগত সুবিধা দিচ্ছি। এ সুবিধার মাধ্যমে রাইডাররা ভাড়ার বিনিময়ে যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেন।’
এ ব্যবসার কোনো অনুমোদন আছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও বিআরটিএ থেকে কোনো অনুমোদন নেওয়া হয়নি। তবে তাদের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।’
প্রতিক্ষণ/এডি/রন