পুলিশি নির্যাতনে গুরুতর আহত নসিমন চালক
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
ভোলার সদর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন নসিমন চালক রাসেল (৩৫)। বৃহস্পতিবার সকালে যানজট সৃষ্টি করার অভিযোগে বোরহানউদ্দিন থানার সামনে এসআই আজিজ বেদম মারধর করেন এই নসিমন চালককে। এরপর নির্যাতনের পর তাকে রাস্তায় ফেলে রাখেন আজিজ।পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ভোলা সদর হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডের ২২ নম্বর বিছানায় চিকিৎসারত নসিমন চালক রাসেল জানান, তিনি বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জনৈক মন্নানের বাসায় ভাড়া থাকেন। দু বেলা দু মুঠো ভাতের সন্ধানে বৃহস্পতিবার ভোরে একমাত্র অবলম্বন ইঞ্জিনচালিত নসিমন নিয়ে বাসা থেকে বের হই। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে থানার সামনে তীব্র যানজটের মুখে পড়ি। এ সময় কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই থানার ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই আবদুল আজিজ আমাকে আকস্মিকভাবে এলোপাথারিভাবে কিল-ঘুষি ও লাথি মেরে বেদম মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখে। এক পর্যায়ে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে বেলা ৩টার দিকে চিকিৎসকরা ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করেন। প্রায় দেড় বছর আগে তার মেরুদন্ডে একটি অপারেশন হয়েছে বলেও জানান রাসেল।
চিকিৎসকরা জানান, রাসেল কোমড়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন। ব্যথার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে বাকি চিকিৎসা দেওয়া হবে। রাসেলের স্ত্রী রোজিনা বেগম (২২) বলেন, আমার স্বামী হাত জোর করে ওসির কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন, স্যার আমার মেরুদন্ডে অপারেশ হয়েছে। আমাকে আর মাইরে্যন না। তারপরেও পুলিশের নির্যাতন থেকে রেহানই পাননি আমার স্বামী। নির্যাতনকারি পুলিশের বিচার দাবি করেন স্ত্রী রোজিনা। নির্যাতনের কথা অস্বীকার করে বোরহানউদ্দিন থানার ওসির দায়িত্বে থাকা এসআই আবদুল আজিজ বলেন, নসিমন চালক রাসেল যানজটের কবলে পড়ে। এ সময় রাসেল অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া