পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতি
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:
পেঁয়াজ বাংলাদেশের একটি অত্যন্ত মূল্যবান ফসল। মসলা ছাড়াও সবজি ও সালাদ হিসেবে এটি ব্যবহৃত হয়।বাণিজ্যিক ভাবেও আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের গুরুত্ব অনেক। তাই ইচ্ছা করলে আপনিও পেঁয়াজ চাষের মাধ্যমে খুব সহজে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। আসুন জেনে নেই পেঁয়াজ চাষ পদ্ধতিঃ
বীজতলা তৈরি ও চারা উৎপাদন
প্রথমে জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে আগাছা সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার করতে হবে।এক সপ্তাহ পর বেডগুলো আবার কুপিয়ে আগাছা বেছে বীজ বপন শুরু করতে হবে। বপনের আগে বীজ কমপক্ষে এক ঘন্টা রোদে শুকাতে হবে। তারপর বীজ ছায়ায় রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে। ঝুরঝুরে হলে বীজ বপন করে মাটি দিয়ে বীজগুলো ঢেকে দিতে হবে। বীজ বোনার পরদিন বেডে ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। পানি দিয়ে বীজতলা চট দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। বীজ গজানোর আগ পর্যন্ত
জমি তৈরি ও চারা রোপণ
বর্ষার সময় বেড ১ মিটার চওড়া ও ১৫ সেন্টিমিটার (৬ ইঞ্চি) উচু করে তৈরি করতে হবে। দু’বেডের মাঝে ৩০ সেন্টিমিটার (১ ফুট) চওড়া নিষ্কাশন নালা রাখতে হবে। তারপর ৫-৬ সপ্তাহ বয়সের চারা সারিতে ১০-১৫ সেন্টিমিটার (৪-৬ ইঞ্চি) দূরে দূরে লাগাতে হয়। এক সারি থেকে অন্য সারির দূরত্ব ১৫-২০ সেন্টিমিটার রাখতে হবে। বীজতলায় চারার গোড়া যতটুকু নীচে ছিল ততটুকু মাটির নীচে দিয়ে লাগাতে হবে।
পোকা মাকড় ও রোগবালাই দমন
থ্রিপস বা জাব পোকার আক্রমণ হলে এ পোকা পাতার রস চুষে ক্ষতি করে। সঠিক কীটনাশক ছিটিয়ে এ পোকা সহজেই দমন করা যায়। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ায় পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ, গোড়া পঁচা এসব রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়। এসব রোগ দেখা দিলে রিডোমিল এম জেড ও ডায়থেম এম-৪৫ প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে একত্রে মিশিয়ে ২ থেকে ৩ বার স্প্রে করতে হবে।
পরিচর্যা
মাটিতে রস কম থাকলে ৭-৮ দিন পর পর হালকা সেচ দিতে হবে। সেচের পর মাটিতে ’জো’ আসলে চটা ভেঙ্গে দিতে হবে এবং আগাছা থাকলে পরিষ্কার করতে হবে। চারা একটু বড় হয়ে উঠলে ছোট কোদাল দিয়ে কুপিয়ে সারির মাঝখান থেকে কিছু মাটি সারিতে তুলে দেয়া ভাল। পেঁয়াজে কলি বা ফুল দেখা দিলে ডাঁটা ভেঙ্গে দিতে হবে। পেঁয়াজ সংগ্রহের ৮-১০ দিন আগে পা দিয়ে পেঁয়াজ গাছ মাড়িয়ে দেয়া ভাল।
প্রতিক্ষণ/এডি/জুয়েল