প্রতারণার ফাঁদ পাতা ইবেতে
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
জনপ্রিয় অনলাইন স্টোর ইবে। পৃথিবীখ্যাত এই বিশাল কোম্পানিটিতে পছন্দের পণ্যটি খুঁজতে সব সময় হুমড়ি খেয়ে পড়েন ক্রেতারা। কাজেই স্ক্যামারদের জন্যে দারুণ এক টার্গেট এটি। বর্তমানে এই আমেরিকান মাল্টিন্যাশনাল কম্পানির অনলাইন স্টোরে মারাত্মক স্ক্যাম ছড়িয়ে পড়েছে। এখানকার ক্রেতা হয়ে থাকলে আগেভাগেই জেনে নিন ইবে ব্যবহারে কী ধরণের সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি।
১. পণ্যও নেই, পয়সাও ফেরত আসেনি : বব মাস্টার্স এমনই হয়রানির শিকার হয়েছেন। তিনি ইবে থেকে একটি পণ্য কিনতে অর্ডার দেন। এ প্রক্রিয়ায় কয়েকটি জিনিস সন্দেহজনক থাকলেও বিশেষ সমস্যা ছিল না। অর্ডারের পর সেখান থেকে জানানো হয়, পণ্যটি চীন থেকে আনতে হবে। রাজি হয়ে কেনেন বব। যথা সময়ে পণ্য হাতে না পেয়ে তিনি যোগাযোগ করেন। পণ্যটি না পাওয়ায় পয়সা ফেরতের জন্যে আবেদন করেন। তাকে প্রমাণ করতে হবে পেপলে তিনি পণ্যের মূল্য পরিশোধ করেছেন। কিন্তু পেপলে তার পেমেন্ট নিয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে বব ও বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মাসব্যাপী বিভিন্ন ঝামেলা হয়ে যায়। যদিও ইবে ৩০ দিনের মধ্যে পয়সা ফেরতের গ্যারান্টি দেয়। কিন্তু একটি বিশেষ স্ক্যাম এ ঘটনা ঘটিয়ে দিলো। অর্থ আর ফেরত পাননি বব।
২. নাইজেরিয়ার ক্রেতারা : একটি সংবাদমাধ্যম জানান দেয় ডিওন্টে রে’এর ঘটনার কথা। তিনি তার একটি সেলফোন বিক্রি করতে চাইছিলেন। একজন নাইজেরিয়ান ক্রেতাও পেলেন। বান্ধবী রাশুন্দ্রা মিলারকে পোস্ট অফিসে পাঠালেন ফোনটি পাঠিয়ে দিতে। সেখানে কর্মরত ডেবি পুলে নিজের চোখে দেখলেন যে ফোনটি নাইজেরিয়া পাঠাতে যাবতীয় সিস্টেম ঠিকমতোই কাজ করলো। কিন্তু কোথাও গলদ রয়েছে। তিনি মিলারকে সাবধান করলেন যে, মনে হচ্ছে এটা কোনো স্ক্যাম। ফোন পাঠানোর আগে পেপলে তার মোবাইলের দাম চলে আসার কথা। মিলার বন্ধুকে বললেন ডেবির সাবধানবাণীর কথা। ডিওন্টে তার পেপল অ্যাকাউন্টে দেখলেন, পেমেন্ট পেন্ডিং হয়ে রয়েছে। এ নিয়ে পেপল অফিসে কথা বললেন তিনি। সৌভাগ্যক্রমে স্ক্যামটি অকার্যকর হয়ে পড়ে। তিনি ৫০০ ডলার পেয়ে যান। কিন্তু পেন্ডিং হয়ে থাকার কথা ছিল না।
৩. মুহূর্তেই বিশাল লাভ : গার্ডিয়ান তাদের এক প্রতিবেদনে জানায় কিছু ক্রয়-বিক্রয়ের স্ক্যামের কথা। এর মাধ্যমে অপরাধীরা খুব অল্প সময়ে বড় অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ প্রতারণার ঘটনা এতটাই মারাত্মক যে তা বন্ধ করতে ইবে-কে চিঠি দেন নিউ ইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল।
বিভিন্ন বড় বড় আয়োজনের টিকিট বিক্রির দালালরা প্রচুর টিকিট কিনে রাখেন। পরে এগুলো আরো উচ্চমূল্যে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়াই তাদের কাজ। গোটা বিষয়টি নিয়ন্ত্রিত হয় কম্পিউটারে। যদি এসব টিকিট কেনার সময় তার কোনো ছবি না দেওয়া থাকে, তবে তা পাওয়ার জন্য ইবে-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে কর্তৃপক্ষ। কাজেই পরের বার কোনো আয়োজনের টিকিট কেনার সময় সাবধান থাকতে হবে। নয়তো মূল দাম অপেক্ষা অনেক বেশি পয়সা খরচ হয়ে যাবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া