প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকবে বিরোধী দল
সংসদ প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে পদক্ষেপ নেবেন, জাতীয় পার্টি তার সঙ্গে থাকবে বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানন্ত্রীকে উদ্দেশ করে রওশন এরশাদ বলেন, সব ধরনের সহিংসতা কঠোর হস্তে দমন করুন, বিরোধী দল হিসেবে আমরা আপনার সঙ্গে আছি।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী যে পদক্ষেপই নিবেন আমরা তার সঙ্গে থাকবো। আমরা এগুলো বন্ধ করতে চাই। আমরা দেশের শাস্তি চাই। এই অরাজকতা দেখতে চাই না। শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী যে কাজ করেন আমাদের সাহায্য সহযোগিতা থাকবে।’
আমরা বিরোধী দল দেশ ও জনগণের পক্ষে কথা বলি উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমরা সংসদ বর্জন করিনা। প্রতিহিংসার রাজনীতির নীতি গ্রহন করিনা। সরকারের জনকল্যাণকর কাজে সমর্থন দিব। জনস্বার্থ বিরোধী হলে প্রতিবাদ করবো।’ এসময় তিনি ময়মনসিংহ বিভাগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন হরতাল অবরোধ আতঙ্কের নাম হয়েছে। এখন যে নৈরাজ্য হচ্ছে তা কখনো মেনে নিতে পারি না। তারা একের পর সহিংসতা অরাজকতা ঘটিয়ে চলেছে। তারা বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। অনেক প্রতিষ্ঠানে আগুন দিচ্ছে। বিভিন্নভাবে মানুষের গায়ে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে। এই পরিস্থিতি বেড়েই চলেছে। জনগণকে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরে নিয়েছে।’
রওশন আরো বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমায় ঈমানদার মুসলমান ঠিকমতো মোনাজাত করতে পারেননি। সেই সময়ও তারা অবরোধ শিথিল করেনি। সত্যিকার মুসলমান হয়ে থাকলে তারা অবরোধ শিথিল করতো। ১৫ দিনে ক্ষতি ২৫/৩০ হাজার কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত ৫০ জন মারা গেছেন। এতোগুলো মানুষের জীবন নিয়ে কারা কেন খেলছে? এতোগুলো লাশের দায়দায়িত্ব কার?’
তিনি আরও বলেন, ‘হরতাল অবরোধ নৈরাজ্য সৃষ্টি করার মাধ্যম হতে পারেনা। যে কোনভাবে হোক এটা বন্ধ করতে হবে। লাখো লাখো শ্রমিকরা অনাহারে দিন কাটছে। সন্ত্রাস অরাজকতা কোন দলের রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, উত্তরবঙ্গে যেভাবে ৩ জন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে তা মানবতার পরিচয় নয়। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা, ট্রেনের লাইন উপড়ে ফেলা নিরীহ মানুষকে প্রতিপক্ষ করার শামিল। মানুষের জন্য রাজনীতি করার কথা বলে তাদেরকে প্রতিপক্ষ বানানো যায় না। এতগুলো মানুষের জীবনে ক্ষতি হল এই দায়দায়িত্ব কার? কে নেবে?
এ পরিস্থিতি কঠিন হস্তে দমন করতে হবে। সবাই মিলে পাড়ায় মহল্লায়, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলেও মন্তব্য করেন রওশন এরশাদ।
প্রতিক্ষণ/এডি/জামিল