প্রভু রাষ্ট্রদ্বয় সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
মাহাদী হাসান ফেসবুকের একটি পরিচিত মুখ। ফেসবুকে তার ফলোয়ার সংখ্যা ১২ হাজারের মতো। তিনি গুলশানে রেস্তোরায় সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন। যেখানে এই হামলার আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্রকে দায়ী করা হয়েছে। তার স্ট্যাটাসটি প্রতিক্ষণ পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো।
“অান্তর্জাতিক মিডিয়ার তীর নিক্ষেপের কড়া নজর বাংলাদেশেন দিকে। গুলসানের হলি অার্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা সংগঠিত হওয়ার খবর শুনার সাথে সাথে বাংলা চ্যানেল দেখার একটু পরেই রিমোটের বোতাম চেপে English Channel দেখার চেষ্টা করি; দেখলাম CNN, BBC লাইভ দেখাচ্ছে। যারা বাংলাদেশের রাজনীতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করেন, তারা দেখে থাকবেন বিশ্ব প্রভূদের একটা মহাপ্রভু উঠে পড়ে লেগেছে—– এটা প্রমাণ করতে যে, বাংলাদেশ অাই.এস অাছে।
CNN বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান তাদের চ্যানেলে বারবার লোকেট করে পরিবেশন করছে। তারা বিভিন্ন নিরাপত্তা বিশ্লেষকের মাধ্যমে বাংলাদের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী ঘটনাসমূহ গভীরভাবে বিশ্লষণের চেষ্টা। পৃথিবীর কোথা ও সন্ত্রসী হামলা হলে তারা এ কাজ করে থাকে কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতা পর্যালোচনায় তাদের অাগ্রহী মনোভাব অামাদেরকে বেশ ভাবিত করে; এর পিছনে অনেক কারন বর্তমান। একটু না বললেই নয়—দেখেন বাংলাদেশ কত সুন্দর ভৌগোলিক অবস্থান; বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশকে তেমন স্পর্শ করতে পারেনি। কত সুন্দরভাবে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে এগিয় যাচ্ছে বাংলাদের। অনেক বড় বড় প্রজেক্ট বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে উন্নয়নের অন্যান্য উপাদান রাষ্ট্রের হাতে চলে অাসে। তখন রাষ্ট্র ধাপে ধাপে এগিয়ে যায়; এই যে এগিয়ে যাওয়া; এটা অনেক অভ্যন্তরীণ এবং অান্তর্জাতিক কর্মকের পছন্দ হয় না। দেশীয় কর্মক অান্তর্জাতিক কর্মকের সাথে চক্রান্ত করে রাষ্ট্রের চরম ক্ষতি সাধন করে।
এই যে ক্ষতি সাধন— এর মূলে সক্রিয় কর্মক হলো ক্ষমতা। পৃথিবীর যত রকমেন ঘ্রাণ অাছে; তার মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট ঘ্রাণ হচ্ছে ক্ষমতার ঘ্রাণ। এই ঘ্রাণের স্বাদ নেয়া দেশীয় এবং অান্তর্জাতিক প্রচেষ্টার সম্মিলনেরর মাধ্যমে হয়ে। বাংলাদেশের এই ঘ্রাণ বর্তমানে অনেক অান্তর্জাতিক মহলকে অাকৃষ্ট করছে। বিদেশীদের সাথে অাছে দেশীয় মীর জাফররা; যারা লর্ডক্লাইভের অাগমনের পথ সৃস্টি করে দেবেন। অাজকে মীর জাফর কারা হতে পারেন পাঠক ভাল ভাবেই বুঝতে পেরেছেন।
ক্ষমতার মোহে বিদেশীদের ডেকে অানা অার দেশপ্রেমের মাধ্যমে ক্ষমতায় অাহরণ এক জিনিস নয়।
খেয়াল করে দেখবেন লিবিয়ার ঐতিহ্যবাহী বেনগাজী শহর রাতের অন্ধকারে বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেছে; বেনগাজীর নিরাপত্তা রক্ষীরা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে গেছে। এখানে প্রশ্ন হলো, বিদ্রোহীরা অস্ত্র পেল কোথায়! নিশ্চয় প্রভু রাষ্ট্র সরবরাহ করেছেন। বেজগাজী শহর বিদ্রোহীরা দখলে নেয়ার লিবিয়ার পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেকেই অবগত অাছেন। মীর জাফররা লিবিয়ায় প্রভূদের ডেকে এনেছেন; মীর জাফররা লিবিয়ার নারিকেল গাছের ডাব পাড়েন অার মুচকি মুচকি হেসে ডাবের পানি খায় পশ্চিমা বিশ্ব।
প্রভু রাষ্ট্রসমূহ ক্ষমতা করায়াত্ব করার জন্য যে কোন ঘৃণ্য পথ গ্রহন করতে কুন্ঠাবোধ করেন না। এখানে নীতি পতিত পুতুলের মতো কাজ করে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো এই প্রভু রাষ্ট্রদ্বয় সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করে তোলা; জাতিকে একই ছাতার তলে নিয়ে অাসা। তাহলে প্রভূদের প্রভূত্ব করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এখানে National Integrity খুবই প্রয়োজন, তাহলে অল্প সংখ্যক যারা অপরের মাধ্যমে ছড়ি ঘুরাতে চায়, তারা হারিয়ে যায়।”
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া