প্রাচীন মিশরীয় সুন্দরীর সমাধি!
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
মিশর-বিশেষজ্ঞ নিকোলাস রিভস সত্যি রানি নেফারতিতির কবর আবিষ্কার করলে সেটা হবে প্রত্নতত্ত্বের জগতে এক বিস্ময়কর ঘটনা৷ এরই মধ্যে কিছু চমকপ্রদ আবিষ্কারের খবর পাওয়া গেছে৷ এমন কিছু চমকপ্রদ তথ্য থাকছে আজ প্রতিক্ষণের পাঠকদের জন্য।
বিস্ময়ের অপেক্ষা
প্রাচীন মিশরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও রহস্যময় রাজা তুতেনখামেনের বিশ্ববিখ্যাত সমাধির মধ্যে সম্ভবত আরও একটা বিস্ময় অপেক্ষা করছে৷ ব্রিটিশ মিশর-বিশেষজ্ঞ নিকোলাস রিভস ‘কেভি৬২’ নামের একটি ঘর পরীক্ষা করে প্রায় নিশ্চিত যে, তার মধ্যে রানি নেফারতিতির কবর রয়েছে৷
সুন্দরী রানি
প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় ‘নেফারতিতি’ নামের অর্থ ‘সুন্দরী এসে গেছে’৷ তিনি রাজা তুতেনখামেন বা ‘টুট’-এর সৎ মা ছিলেন৷ তবে এতকাল তাঁর সমাধি সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি৷ ১৯১২ সালে জার্মান প্রত্নতত্ত্ববিদ লুডভিশ বরশার্ট মিশরে নেফারতিতির আবক্ষ মূর্তি আবিষ্কার করেন৷ বিশ্ববিখ্যাত সেই মূর্তি ২০০৯ সাল থেকে বার্লিনের একটি মিউজিয়ামে প্রদর্শিত হচ্ছে৷
গবেষণা এখনও চলছে
গত ২৯শে সেপ্টেম্বর মিশরের প্রাচীন সভ্যতা ও তার নিদর্শনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী মামদুখ আল-দামাতি (বামে) রিভস-এর সঙ্গে লুক্সর-এ প্রায় ৩,৩০০ বছর পুরানো ফারাও সমাধিক্ষেত্র পরিদর্শন করেন৷ মন্ত্রীও মনে করেন, প্রাচীরের পেছনে কোনো রানির সমাধি থাকা সম্ভব৷ তবে সেটা নেফারতিতির কিনা, সে বিষয়ে তাঁর মনে সংশয় রয়েছে৷
বিশ্ব তারকা তুতেনখামেন
১৯২২ সালে ব্রিটিশ প্রত্নতত্ত্ববিদ হাওয়ার্ড কার্টার (বামে) ‘কেভি৬২’ নামের সমাধি আবিষ্কার করেন৷ প্রায় অক্ষত ছিল সেই সমাধি৷ ফলে ১৯ বছর বয়স্ক ‘শিশু ফারাও’ বা ‘বালক রাজা’ তুতেনখামেন বিশ্ববিখ্যাত হয়ে পড়েন৷ গোটা মিশরে এটাই সবচেয়ে জনপ্রিয় সমাধি৷
এখনও শুধু অনুমান
তুতেনখামেনের সমাধিক্ষেত্রের পেছনে সত্যি তাঁর সৎ মা নেফারতিতির সমাধি আছে কিনা, তা এখনো অনুমানের বিষয়৷ তবে বার্লিনের মিশরীয় মিউজিয়ামের উপ-প্রধান অলিভিয়া সর্ন মনে করেন, নিকোলাস রিভস অত্যন্ত পণ্ডিত মানুষ, যিনি তথ্যের ভিত্তিতেই কাজ করেন৷
সুন্দরীর সমাধি কি পাওয়া যাবে?
নেফারতিতি ঠিক কবে মারা গিয়েছিলেন, তা কেউ জানে না৷ তবে তাঁর মৃতদেহ মমি করে আমাপনায় রাজকীয় সমাধিক্ষেত্রে নিয়ে আসা হয়েছিল, এটা ধরে নেওয়া যায়৷ প্রাথমিক পরীক্ষার পর রিভস-ও এমন ইঙ্গিত খুঁজে পেয়েছেন৷ রাডার ও ইনফ্রারেড পরীক্ষার মাধ্যমে অদূর ভবিষ্যতেই সত্য উন্মোচন হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
সবাই যা পড়েছে
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে