ফেসবুকে রিঅ্যাকশন অপশন ব্যবহারে বিপদ!
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
ফেসবুকের নতুন রিঅ্যাকশন অপশন ব্যবহারে বিপদ হতে পারে। হারিয়ে যেতে পারে মানুষের প্রাইভেসি। বেলজিয়ান পুলিশ নিজেদের প্রাইভেসি রক্ষার্থে ফেসবুকের নতুন রিঅ্যাকশন অপশন ব্যবহার না করার জন্য সে দেশের নাগরিকদের রীতিমতো সতর্ক করে দিয়েছে।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফেসবুক লাইকের পাশাপাশি পোস্টে অনুভূতি জানানোর ৬টি নতুন অপশন যোগ করে। এটা মূলত করা হয় ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ডিজলাইক বাটনের চাহিদার উত্তরে। ডিজলাইক বাটন সম্পৃক্ত করা না হলেও এর ফলে পোস্টে বিভিন্ন ধরণের অনুভূতি জানানোর সুযোগ পায় ব্যবহারকারীরা।
কিন্তু বেলজিয়ান পুলিশ এই বলে সতর্ক করেছে যে, এই নতুন রিঅ্যাকশনগুলো ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহার করছে এবং এই তথ্যগুলো তারা এই ব্যবহারকারীদের কাছে আরো ভালোভাবে কীভাবে বিজ্ঞাপন পৌছানো যায় সে ব্যাপারে কাজে লাগাচ্ছে। এ কারণে বেলজিয়ান পুলিশ ব্যক্তির প্রাইভেসি রক্ষার্থে এই রিঅ্যাকশনগুলো না ব্যবহারে জনগণকে সতর্ক করে দিয়েছে।
বেলজিয়ান পুলিশ তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে লিখেছে, “এই আইকনগুলো কেবল আপনার অনুভূতি প্রকাশেই সাহায্য করে না, তারা ফেসবুককে আপনার প্রোফাইলে কোন বিজ্ঞাপন বেশি কার্যকরী হবে তা পরিমাপ করতেও সাহায্য করে।” তাদের দাবি, এই আইকনগুলোর ব্যবহার ফেসবুককে জানিয়ে দেয় কখন ব্যবহারকারী ভালো মুডে আছে এবং তাদেরকে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনে কোন সময়টা সবচেয়ে উপযুক্ত।
“৬টি ইমো আইকন প্রচলণের মাধ্যমে আপনার চিন্তা-ভাবনাগুলোকে ফেসবুক বিচার করছে যাতে করে পর্দার পেছনে তাদের ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ আরো ফলপ্রসু হচ্ছে। মাউস ক্লিকের মাধ্যমেই আপনি তাদের জানিয়ে দিচ্ছেন কী আপনাকে সুখী করে।” ওয়েবসাইটে লিখেছে বেলজিয়ান পুলিশ। তারা আরো লিখেছে, “এটা আপনাকে আগ্রহী করে তুলবে এমন আধেয় বা কনটেন্ট প্রদর্শনের জন্য ফেসবুককে আপনার প্রোফাইলে আদর্শ জায়গা খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এটা সাহায্য করে কোন সময়ে আপনার সামনে আধেয়টি প্রদর্শন করলে ভালো হবে তা বুঝতে।”
মানুষ বুঝতে পারছে যে, ফেসবুকের এই রিঅ্যাকশনগুলো বিজ্ঞাপনদাতাদের ভোক্তার মনোভাব বুঝতে সহায়তা করছে। যদিও ওয়েবসাইটটি দাবি করেছে, ব্যবহারকারীদের আরো সুস্পষ্টভাবে নিজেদের আবেগ প্রকাশ করার সুযোগ করে দিতেই এই আইকনগুলো তারা ওয়েবসাইটে যোগ করেছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এটা একই সঙ্গে ফেসবুককে কোন বিষয় মানুষকে কি অনুভূতি প্রদাণ করে সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ডাটা সরবরাহ করছে। এর ফলে মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় বলে আর কিছুই থাকছে। পুরো ব্যাপারটাই আসলে ঘটছে ফেসবুকের রাজনৈতিক অর্থনীতিকে সফল করে তুলতে।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া