বন্দুকের সেলফিতে আহত কিশোর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সেলফি কান্ড নিয়ে এখন নানারকম রম্য কাহিনী প্রচলিত আছে। তবে এবার বোধয় পুরোনো সব রেকর্ড ভাঙার সময় এসেছে। পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে সেলফি নেওয়ার কথা কি আগে শুনেছেন? এটা কিন্তু খেলনার পিস্তল নয়, একেবারে লাইসেন্স করা আসল পিস্তল। তবে পিস্তলের মালিক বাবা; আর সেলফি তুলে নায়ক সাজার ভাব দেখালেন ছেলে। দু:খজনক হলেও সত্যি যে, এত বিপজ্জনক সেলফি তোলার খেসারত এখন সেই ছেলেকে হাসপাতালের ব্যাডে শুয়ে শুয়ে দিতে হচ্ছে। যেখানে জীবন-মৃত্যুর দোলাচলে দুলছে এই কিশোরের শ্বাস-প্রশ্বাসধ্বনী।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের পাঠানকোট শহরের শিবনগর এলাকায় ১৪ বছর বয়সী কিশোর রমনদীবের জীবনে। বন্দুকের মতো একটা ভয়ঙ্কর অস্ত্র নিয়ে লাইক আর কমেন্টের যে আনন্দে মেতে উঠতে চেয়েছিল; সেই আনন্দই আজ বিষাদের করুণ সুর হয়ে বাবা-মায়ের কান্নায় পরিণত হল।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রমনদীপ স্থানীয় এক ঠিকাদারের ছেলে। বাবার লাইসেন্স করা পিস্তলটি নিয়ে অনেকটা খেলার ছলেই মাথায় ঠেকিয়ে মোবাইল ফোনে সেলফি তুলছিল সে। তখন হঠাৎ ট্রিগারে চাপ লেগে গুলি বের হয়ে যায়। এতে গুরুতর আহত হয় রমনদীপ। লুধিয়ানার একটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
গণেশ কুমার নামের রমনদীপের এক আত্মীয় এনডিটিভিকে বলেন, ‘দু:ঘটনাটির সময় ঘটনাস্থলে তার বোনও ছিল। সে-ই চিৎকার করে সবাইকে বিষয়টি সম্পর্কে জানায়। পরে প্রথমে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত লুধিয়ানার বড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
এদিকে, রমনদীপের বাবার পিস্তলটি জব্দ করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে পাঠানকোটের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মনোজ কুমার বলেন, ‘অসাবধানতাবশত ঐ কিশোরের হাত থেকে গুলি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।
শিক্ষণীয়: বিপজ্জনক বিষয় নিয়ে কখনও খেলা করা উচিত নয়। ঘরে থাকা এ ধরণের যেকোনো জিনিসের ব্যাপারে বাবা-মায়ের অনেক বেশি সতর্ক হওয়া উচিত।
============