বাতাসে মুকুলের পাগল করা ঘ্রাণ

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬ সময়ঃ ১:৪৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৪৫ অপরাহ্ণ

তোফায়েল হোসেন জাকির (গাইবান্ধা প্রতিনিধি)

index

ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। পাতা ঝড়া ষড়ঋতুর রাজা বসন্ত ঋতু। আবহমান বাংলার সৌন্দর্যের রাজা বলে পরিচিত বসন্তকাল। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে বসন্তের শুষ্ক আবহাওয়ায় যতদূর চোখ যায় শুধুই সবুজের সমাহার। আর এরই সাথে ছড়িয়ে পড়েছে গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ।  

জেলার চাষযোগ্য জমির আইল, বসতভিটায়, বিভিন্ন অফিস-আদালত চত্বরে, সরকারি বেসরকারি পরিত্যক্ত ভূমি ছাড়াও এ অঞ্চলের অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে ছোট-বড় আম বাগান গড়ে তুলেছেন। গত মৌসুমের তুলনায় এবার প্রাকৃতিক আবহাওয়ার ভারসাম্য ঠিক থাকায় সিংহভাগ আম গাছে প্রত্যাশিত মুকুল এসেছে।

প্রাকৃতিক আবহাওয়ার কোন দুর্যোগ না ঘটলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষি সচেতনদের অভিমত। এখনো তেমন আমের মুকুল বিনষ্টের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা যায়নি। গাছে-গাছে মুকুলের অধিক সমাহারে সবার মাঝেই বিরাজ করছে এখন আনন্দ। গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি আমগাছে এসেছে আমের মুকুল।

গ্রামে গ্রামে রয়েছে আমের ছোট-বড় প্রচুর আম গাছ। মুকুল আসার পূর্বে আম গাছ মালিকরা তাদের আমের গাছের যত্ন নেয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকেন। গাইবান্ধা জেলার সর্বত্রই মুকুল আসা আম গাছের নানামূখী পরিচর্যা নিয়ে গাছ মালিকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

আমগাছি জহির উদ্দিন ও মোসলেম উদ্দিনসহ আরও অনেকে জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকলে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

গাইবান্ধা জেলার কৃষিবিদরা জানান, উপজেলায় বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। মাঠ পর্যায়ে বসতবাড়ীর চারপাশ ছাড়াও দন্ডায়মান আম গাছে মুকুল থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত গাছের আম যাতে কোন কারণে বিনষ্ট না হয় সেজন্য কৃষি বিভাগের সার্বক্ষনিক সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে এবং কৃষকদের বহুমূখী পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G