বাধা পেরিয়ে কুয়েতে লাভজনক সবজি ব্যবসা

প্রকাশঃ এপ্রিল ১৯, ২০১৬ সময়ঃ ২:০৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৫৯ পূর্বাহ্ণ

আ,হ জুবেদ (কূটনীতিক প্রতিনিধি) কুয়েত:

352da6ea-465b-4d88-8894-85971c8372fbপুলিশের অব্যাহত ধর পাকড় আর সবজির হাটকে বারবার ভেঙেচুরে গুড়িয়ে দিয়েও ফলাফল মূলত কিছুই হয়নি। বরং দেখা গেছে, এখনো প্রবাসী বাংলাদেশীরা টাটকা সবজির রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কুয়েতের বাঙালি অধ্যুষিত হাসাবিয়া এলাকার চিপা গলির হাটের কথা বলছিলাম।

যে হাটে ব্যবসা করে কেউ হয়েছেন কোটিপতি আবার কেউবা হয়েছেন পথের ভিখারী কিংবা কাউকে যেতে হয়েছে কুয়েত ছেড়ে শুধুমাত্র এক কাপড়ে।

কুয়েতের হাসাবিয়া এলাকার উক্ত টাটকা সবজির হাট শুরু হয়েছে সে অনেক আগে থেকে, কিন্তু একটি বিষয় লক্ষণীয় যে, এখানে বিক্রেতা সবই বাংলাদেশী। তবে এক্ষেত্রে ক্রেতারা যদিও সংখ্যাধিক বাংলাদেশী কিন্তু পাশাপাশি অন্যান্য দেশের ক্রেতারাও রয়েছেন।

কুয়েতে যেকোনো জায়গায় হাট-বাজার কিংবা দোকান স্থাপনের ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের আইন বা নিয়মানুযায়ী হাসাবিয়ার উক্ত সবজির হাট সম্পূর্ণ অবৈধ।
কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা হাসাবিয়া এলাকার উক্ত সবজিরর হাটের উপর দিয়ে অনেক ঝড়-ঝাপটা বয়ে গেলেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের সংখ্যাতো কমেইনি বরং এখন অনেক গুণ বেড়েছে।Kuet-1

একজন বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এ বিষয়ে; তখন তিনি বলেন, ‘ভাই আমি এখানে প্রায় কুয়েত আসার পর থেকেই ব্যবসা করছি, সে অনুমানিক ৮বছরের বেশি হবে। আমার মা-শা-আল্লাহ অনেক লাভ হচ্ছে, কিন্তু মাঝেমাঝে (বলদিয়া) পুলিশ এসে সবকিছু নিয়ে যায়, তখন অনেক ক্ষতির শিকার হতে হয়। কিন্তু ভাই এখানে ব্যবসা করা মানে অনেক ঝুকিপূর্ণ, সবসময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়’।

কুয়েতের হাসাবিয়া এলাকার উক্ত অবৈধ হাটের কারণ অনুসন্ধান করতে গেলে জানা যায় যে, সেখানে শুধুমাত্র কম বেতনধারী কুয়েতে আসা বাংলাদেশী শ্রমিকরাই এই হাটে বিভিন্ন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন।

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রায় ৬৫ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশীরা ক্লিনিং কোম্পানিতে কর্মরত। আর ক্লিনিং কোম্পানিতে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন খুবই কম; এ কারণে তাদের খরচের অর্থের বিশাল ঘাটতি পূরণ করতে গিয়েই তাদেরকে আশ্রয় নিতে হচ্ছে এসব অবৈধ কাজের।

উল্লেখ্য যে, কুয়েতে যেসব কম বেতনধারী শ্রমিকরা রয়েছেন তার সিংহভাগ শ্রমিকরাই এইসব অবৈধ কাজে লিপ্ত রয়েছেন।

কুয়েতের হাসাবিয়া এলাকার উক্ত সবজি হাটের ব্যবসা নিয়ে কুয়েতের ডেইলি নিউজ পেপারগুলো অনেক হেডলাইন করেছে; কিন্তু অজ্ঞাত কিছু কারণে এসব বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রায় অক্ষম।

========

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G