বিজ্ঞানী আবেদের নতুন ধান জাতের উদ্ভাবন

প্রকাশঃ অক্টোবর ২৪, ২০১৫ সময়ঃ ৩:৪৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:০২ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

abed chyবছরের যে কোন সময় রোপন করা যাবে, সারও লাগে কম। আর ফসল ঘরে তোলা যাবে রোপণের দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে। এরকম চার জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন, জিন বিজ্ঞানী ও ধান গবেষক আবেদ চৌধুরী।

দেশীয় ধান থেকে ব্রিডিং করে হাফিজা, জালালিয়া, তানহা ও ডুম নামে চার জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন, অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এই বিজ্ঞানী। এরই মধ্যে মৌলভীবাজারে এই ধানের আবাদে সাফল্যও এসেছে। আর এই ধান আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরাও।

ধান গবেষক আবেদ চৌধুরীর বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কানিহাটি গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অষ্ট্রেলিয়াপ্রবাসী। তবে সম্প্রতি দেশে এসে নিজের উদ্ভাবিত চার জাতের ধানের পরীক্ষামূলক কাজ শুরু করেন।  বীজতলা তৈরির পর; চলতি বছরের জুন মাসে গ্রামের চার বিঘা জমিতে চার রোপন করেন তিনি। এরপর গেলো সপ্তাহে ধান কাটার পরই পেলেন সফলতা।

আবেদ চৌধুরী জানান, পাঁচ বছর গবেষণা করে দেশীয় ধান থেকে ব্রিডিং করে হাফিজা, জালালিয়া, তানহা ও ডুম নামে চার জাতের নতুন ধান উabed scientistদ্ভাবন করেছেন। এই চার জাতের ধানের বীজতলা থেকে শুরু মাত্র ১০৮ দিনের মধ্যেই মাঠ থেকে ফসল সংগ্রহ করা যায়। বছরের অন্যান্য সময়েও চাষাবাদ করা যাবে নতুন উদ্ভাবিত এই চার জাতের ধান।

ড. আবেদ চৌধুরী আরো জানান, কীভাবে দেশীয় ধান সংরক্ষণ করা যায় এবং বিলুপ্তপ্রায় ও দেশীয় ধান থেকে হাইব্রিড পদ্ধতিতে না গিয়ে ব্রিডিং কোরে নতুন ধান উদ্ভাবন করা যায়, তিনি সেই চেষ্টাই করছেন। যা ছড়িয়ে দিতে চান আনাচে-কানাচে।

সাধারণ আমন মৌসুমে ধান করলে ঘরে ফসল তোলা যায় অগ্রহায়ণে। কিন্তু এই মৌসুমে চার জাতের ধান চাষাবাদ কোরে আশ্বিনেই ফসল তোলা গেছে। তাই কৃষকরাও আগামীতে এই চার জাতের ধান আবাদে আগ্রহী।

আবেদ চৌধুরীর মতে, তার উদ্ভাবিত ধান আগে ঘরে আসায় খাদ্য সংকট দূর হবে আর অগ্রহায়ণের বদলে আশ্বিনই নবান্ন উৎসবে মেতে উঠতে পারবে কৃষকরা।

প্রতিক্ষণ/এডি/বিএ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G