বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুল (পর্ব ১)

প্রকাশঃ এপ্রিল ২৬, ২০১৬ সময়ঃ ৩:৫৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৫৪ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

Presentation1

ফুল স্বভাবতই মনোহর। ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বিরল। আর যে ফুল কোন দেশের জাতীয় ফুল হওয়ার মর্যাদা লাভ করে তার প্রতি মানুষের আগ্রহ একটু বেশি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তাই আসুন জেনে নিই বিভিন্ন দেশের জাতীয় ফুলগুলো সম্পর্কে।

১। শাপলা – বাংলাদেশের জাতীয় ফুল যে শাপলা এ কথা আমরা সবাই জানি। তবে সব রঙের শাপলা নয়, কেবল সাদা শাপলাই বাংলাদেশের জাতীয় ফুল।

গোলাপী, সাদা, নীল, বেগুনি প্রভৃতি রঙের হয়ে থাকে শাপলা ফুল। শাপলা ফুল দিনের বেলা ফোটে এবং সরাসরি কাণ্ড ও মূলের সাথে যুক্ত থাকে। শাপলার পাতা আর ফুলের কাণ্ড বা ডাটি বা পুস্পদণ্ড পানির নিচে মূলের সাথে যুক্ত থাকে। আর এই মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে এবং পাতা পানির উপর ভেসে থাকে। মূল থেকেই নতুন পাতার জন্ম নেয়।

প্রায় ৩০০ খ্রিস্টপূর্ব পুরনো এই জলজ উদ্ভিদটি বছরের প্রায় সব সময় ফোটে। তবে বর্ষা ও শরৎ এই উদ্ভিদ জন্মানোর শ্রেষ্ঠ সময়।

আর একটা অদ্ভূত ব্যাপার দেখুন। শ্রীলংকার জাতীয় ফল যেমন বাংলাদেশের সঙ্গে মিলে গেছে, তেমনি মিলে গেছে জাতীয় ফুলও। শ্রীলংকার জাতীয় ফুলও শাপলা। শাপলাকে শ্রীলংকার স্থানীয় ভাষায় নীল মাহানেল নামে অভিহিত করা হয়।

২। পদ্ম – শতদল, কমল, সহস্রদল, অরবিন্দ, পঙ্কজ প্রভৃতি নামে পরিচিত পদ্ম ভারতের জাতীয় ফুল। পদ্মফুল পবিত্র সৌন্দর্যের প্রতীক। সে কারণে পদ্মের সঙ্গে মিলিয়ে মানুষকে  চরণকমল, পাদপদ্ম, করকমল, মুখপদ্ম, কমলনয়না ইত্যাদি নামে ডাকা হয়।  পদ্ম Nelumbonaceae পরিবারের অন্তর্ভূক্ত ফুল।

৩। গোলাপ – যুক্তরাষ্ট্র, ইরাক, বুলগেরিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, লুক্সেমবার্গ, মালদ্বীপ এবং ইংল্যান্ডের জাতীয় ফুল হওয়ার গৌরব লাভ করেছে গোলাপ।Rosaceae পরিবারের Rosa গণের এক প্রকারের গুল্ম জাতীয় গাছে গোলাপ ফুল ফুটে থাকে। প্রায় ১০০ প্রজাতির বিভিন্ন বর্ণের গোলাপ ফুল রয়েছে। গোলাপ সোউন্দর্য ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। তবে গোলাপের নিজস্ব কোন গন্ধ নেই।

গ্রীক উপকথায় আছে, প্রেমের দেবী ভেনাস এর পায়ের রক্ত থেকে গোলাপ এর জন্ম। আরব দেশীয় কাহিনীতে আছে সাদা গোলাপকে বুলবুলি পাখি আলিঙ্গন করায় বুলবুলি কাটার আঘাতে রক্তাক্ত হলে লাল গোলাপের জন্ম হয়।

৪। জুঁই – আমরা তিউনিসিয়ার স্বৈরাচারবিরোধী জুঁই বিপ্লবের কথা জানি। এই বিপ্লবের নামকরণ করা হয়েছে তিউনিসিয়ার জাতীয় ফুলের নামেই। এটি ইউরেশিয়া,অস্ট্রেলেশিয়া এবং ওশেনিয়ার মতো উষ্ণ অঞ্চলের  জন্মায় এবং এর ২০০ এর বেশী প্রজাতি রয়েছে। জুঁই পত্রঝরা (শীতকালে পাতা ঝরে এমন) অথবা চিরহরিত্‍ (সারা বছর সবুজ থাকে) উভয় প্রকারেরই হতে পারে।

সিরিয়ার জাতীয় ফুলের নামও জুঁই।

৫। টিউলিপ – আফগানিস্তান ও তুরস্কের জাতীয় ফুল টিউলিপ। এই ফুলটি বর্ষজীবি ও বসন্তকালীন ফুল হিসেবে পরিচিত। লিলিয়াসে পরিবারভূক্ত টিউলিপ পাত্রে চাষাবাদের উপযোগী এক প্রকার পুষ্পজাতীয় উদ্ভিদ। এছাড়াও এটি বাগানে কিংবা বাণিজ্যিকভিত্তিতে জমিতেও চাষ করা হয়। বাণিজ্যিকভিত্তিতে অটোম্যান সাম্রাজ্যে চাষাবাদ শুরু হলেও পরবর্তীকালে নেদারল্যান্ডে বাণিজ্যধর্মী আবাদ শুরু হয়। হল্যান্ড বিশ্বের প্রধান টিউলিপ উৎপাদনকারী এলাকা হিসেবে পরিচিত।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G