বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ

প্রকাশঃ মে ৩, ২০১৬ সময়ঃ ২:২৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:২৬ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

Presentation1

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিরোধের সংকল্প গ্রহণের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও নিহত সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে সারা পৃথিবীর সাংবাদিক সংগঠনগুলো প্রতি বছরের ৩ মে দিবসটি পালন করে থাকে।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস বা ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডের সূচনা সম্পর্কিত ইতিহাস ঘাটতে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৯৩ সাল থেকে আন্তর্জাতিকভাবে এ দিবস পালিত হয়ে আসছে। ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী জাতিসংঘ প্রতি বছরের ৩ মেকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এবং ১৯৯৩ সাল থেকে এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।

গণমাধ্যমকে বলা হয় “ফোর্থ পিলার অব দ্যা স্টেট” অর্থ্যাৎ রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাধারণভাবে একটি রাষ্ট্রের ৩টি স্তম্ভ থাকে। যথা – আইনসভা, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ বা প্রশাসন। কিন্তু একটি সফল রাষ্ট্র নির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা এবং সমাজে গণমাধ্যমের সুদূরপ্রসারী প্রভাবের কথা চিন্তা করে গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য হচ্ছে “ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট”। সবার জন্য টেকসই উন্নয়ন একবিংশ শতাব্দীর নতুন পৃথিবীর গড়ে তোলার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। আর এই প্রতিপাদ্য থেকেই বোঝা যায়, টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে গণমাধ্যমের সম্পর্ক ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। তবে এ জন্য গণমাধ্যমের উপস্থিতিই কেবল যথেষ্ট নয়, বরং মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের উপস্থিতি প্রয়োজন। জনগণের তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করতে এবং রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছ্বতা নিশ্চিত করতে যে কোন দেশে স্বাধীন গণমাধ্যমের উপস্থিতি একান্তভাবে কাম্য।

আমরা জানি যে, ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘ নতুন বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) গ্রহণ করেছে। আর ২০১৬ সাল হচ্ছে ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকল্পে বৈশ্বিক সংকল্প দৃঢ়ীকরণে জাতিসংঘের অফিসিয়াল বছর। এই ১৭টি লক্ষ্যের ১৬ নাম্বার লক্ষ্যটি হচ্ছে, টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ এবং অন্তর্ভূক্তিকর সমাজের প্রচার, ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে সবার অভিগম্যতা নিশ্চিত করা এবং সর্বক্ষেত্রে কার্যকরী, দায়বদ্ধ এবং অন্তর্ভূক্তিকর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা করা। মুক্ত গণমাধ্যম তথা মত প্রকাশের স্বাধীনতা এই এসডিজি সফল হওয়ার পথে গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হিসেবে কাজ করবে ১৭টি উন্নয়ন লক্ষ্যের ১৬তমটি অর্জনে সহায়তা করে।

বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে হাঁটছে। তবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় যদি হস্তক্ষেপ আসে তাহলে উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে নিঃসন্দেহে। তাই বাংলাদেশ সরকার সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার ও আহত সাংবাদিকের উপর নির্যাতনের বিচার করবে, সকল সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং দেশে ভিন্নমত প্রকাশের উপযোগী মুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করে যাবে, এমনটাই আশা করে দেশের সাংবাদিক সমাজ।

 
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G