বুনো হাতিটি মারা গেছে
ভারতের আসাম থেকে বানের পানিতে ভেসে আসা বুনো হাতিটি আজ মঙ্গলবার সকালে মারা গেছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তা তপনকুমার দে বলেন, হাতিটি বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। অনেকদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর কারণে পুষ্টিজনিত দুর্বলতায় ভুগছিল হাতিটি। যদিও স্যালাইন দিয়ে হাতিটিকে সুস্থ করার চেষ্টা করছিলেন বন কর্মকর্তারা।
ঐ বনকর্মকর্তা বলেন, তবে হঠাৎ করে অনেক গরম পড়ার কারণে ‘হিট স্ট্রোকে’ বুনো হাতিটির মৃত্যু ঘটে থাকতে পারে। এখন ময়নাতদন্ত করে জানা যাবে কী কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
বাংলাদেশের বন বিভাগ হাতিটির নাম দিয়েছিল ‘বঙ্গ বাহাদুর’। আসাম থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে, একমাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন চরাঞ্চলে ঘুরে বেড়ায় হাতিটি।
বেশ কিছুদিন চেষ্টার পর জামালপুরের সরিষাবাড়িতে গত ১১ অগাস্ট হাতিটিকে সঙ্গাহীন করে ধরার জন্য ট্রাঙ্কুলাইজার দিয়ে গুলি করেন বনকর্মীরা। একপর্যায়ে হাতিটি পুকুরে পড়ে গেলে এলাকাবাসীর সহায়তায় সেটিকে টেনে তোলা হয়। এরপর থেকে হাতিটি সেখানেই বাঁধা ছিল।
কিন্তু হাতিটি ধরা হলেও, সেটিকে বশ মানানো কষ্টকর হয়ে পড়ছিল। গত রোববার সকালে হাতিটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা পায়ের শেকল ছিঁড়ে কয়রা গ্রাম থেকে দৌড়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে চলে যায়।
হাতিটিকে ধরতে বেশ বিপাকেই পড়েছিল বন কর্মকর্তারা। পরে প্রায় দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টা শেষে বন কর্মকর্তারা ট্রাঙ্কুলাইজ করে হাতিটিকে অবশ করে এবং আবার তার পায়ে শেকল পরিয়ে দেন। এরপর হাতিটিকে গাজীপুরের সাফারি পার্কে স্থানান্তরের চেষ্টা করছিলেন বন কর্মকর্তারা। লোকালয় থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার মধ্যেই মারা গেল বুনো হাতিটি। সূত্র : বিবিসি।
প্রতিক্ষণ/এডি/একে
=====