বৈশাখের রঙে রাঙানো ঠোঁট
কখনো কখনো নয়ের মধ্যে একের আধিপত্যও কম নয়। আপনি মহা আনন্দে বৈশাখী ঢঙে সাজলেন। কিন্তু তীরে এস তরী ডোবালেন ঠোঁটে লিপস্টিক দিতে ভুলে গিয়ে।
কেমন লাগবে একবার কল্পনা করে দেখুনতো? খুব একটা মনে সুখকর হবে বলে মনে হয় না আপনার সে কল্পনাটি। আপনি যে সাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশকে বেমালুম ভুলে গেছেন।
ঠোঁট রাঙাতে কার না ভালো লাগে। কেউ পান খেয়ে রাঙায়, কেউ ফুলের রঙে আবার কেউ কৃত্রিম রঙের উপকরণ লিপস্টিক দিয়ে। কিন্তু প্রশ্ন হল এখন কী ধরণের স্টাইল চলছে। লাল ছাড়া কি আর চলে; আসলেই চলে না। বৈশাখে লাল-সাদা শাড়ির সাথে লাল রং খুব সহজেই মিলে-মিশে একাকার হয়ে যায়।
এ বছর ঠোঁট রাঙানোর বেলায় লাল রং আর তার নানা শেড প্রাধান্য পাবে। অনেকেই আছেন যারা লাল রঙে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না, তারা লালের মাঝেই ভিন্ন শেড যেমন চেরি-লাল, কোরাল-লাল, গোলাপি আভায় রাঙা লালের মতো শেডগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এ ধরনের শেডগুলো লাল রঙের মধ্যে পড়লেও তা কিন্তু বেশ অন্য রকম দেখতে।
উল্টোভাবে আবার অনেকেই পছন্দ করেন চড়া রঙের (বোল্ড) লিপস্টিক ব্যবহার করতে। চড়া লাল রংগুলোর মাঝে ওয়াইন আর ব্লাড রেডের বিকল্প নেই। ন্যুড লিপস্টিকের আবেদন থাকে সব সময়।গরমে দ্বিতীয় রং হিসেবে এবারে রয়েছে ন্যুড লিপস্টিক আর তার নানা ধরন। আসলে সব ঋতুতেই ন্যাচারাল লিপ শেডের আবেদন কখনোই কমে না।
তবে এখন ন্যুড লিপস্টিকে উষ্ণ বাদামি আর গোলাপি ন্যুডের প্রাধান্য বেশি। পুরোনো ট্রেন্ডে প্রচলিত ছিল মভ টোনের ন্যুড। লিপস্টিকের রঙের সঙ্গে ফিনিশেরও একটা ভিন্নতা আসে ঋতুভেদে। অনেকই পছন্দ করেন গ্লস অথবা ক্রিম ফিনিশ আর অনেকে একেবারে ম্যাট ফিনিশ। তবে গরমকালে, বিশেষ করে দিনের বেলাটা গ্লস ফিনিশের লিপস্টিকের জন্য একেবারেই উপযোগী নয়।
দিনের বেলা ক্রিম, সেমি ম্যাট অথবা ম্যাট ফিনিশের লিপস্টিক দেখতে যেমন সহনীয়, তেমনি দীর্ঘস্থায়ী। ইদানীং ম্যাট ফর্মুলার লিকুইড লিপস্টিকগুলো বেশ জনপ্রিয়।
এ ধরনের লিপস্টিকগুলো একবার পরার পর সারা দিনের জন্য পাকাপোক্ত হয়ে ঠোঁটে রয়ে যায় আর গরমকালে গরমে গলে ছড়িয়ে পড়ারও ভয় থাকে না।
আর সবশেষে রাতের সাজে ঠোঁটের উজ্জ্বলতা বাড়াতে যেকোনো ঋতুতেই গ্লসের বিকল্প নেই। ঠোঁটে রং যেটাই হোক না কেন, ঠোঁটের রঙের সঙ্গে মেলানো গ্লস আপনার সাজে ভিন্ন মাত্রা আনবে।