ভালুকায় “জাতীয় শোক দিবসের” চরম অবমাননা

প্রকাশঃ আগস্ট ১৫, ২০১৫ সময়ঃ ১:২৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:০৬ অপরাহ্ণ

মাসফেক ইব্রাহীম

kadi para schoolসারাদেশে যখন জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করতে ব্যস্ত বাঙ্গালী জাতি তখন ভালুকা উপজেলার ৭১ নং কাদিগড় সরকারি বিদ্যালয়ে শোক দিবসকে উপেক্ষা করার চরম দু:সাহস দেখিয়ে জাতির পিতার প্রতি চরম অবমাননা প্রদর্শন করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আবদুল খালেক বিদ্যালয়ে এসেছেন সকাল সোয়া দশটায় অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। তিনি স্কুলের প্রবেশের ঠিক ১৫ মিনিটের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেয়।

তার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর আরো অভিযোগ করেন, সুর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার কথা থাকলেও তা উত্তোলন করা হয় সকাল ১০.৩০ টায়। ছিলনা কোন কালো পতাকা।

এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ছিলনা কোন চিত্রাঙ্কন বা রচনা প্রতিযোগিতা। স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সাথে জাতীয় শোক দিবসের কোন আলোচনা বা কোন প্রকার কর্মসূচিও নেওয়া হয়নি। জাতীয় শোক দিবসের দিন জাতির পিতার আলোচনা না করে ছাত্রছাত্রীদের বিদায় করে দিয়ে কমিটির সদস্যদের আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি দিয়ে বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে হিসেব নিকেশ করার নাম করে গল্প গুজব করে সময় পার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সভাপতি|

let 22
জমি নিয়ে হিসেব নিকেশ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

এই বিষয়ে বিদ্যালয় কমিটির সদস্য আবদুল মান্নান জাতির পিতার জাতীয় শোক দিবসে বিদ্যালয় কমিটির এরকম আচরণে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি জাতির পিতার জাতীয় শোক দিবসে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ মিটিং ডাকাকে রাষ্ট্র দ্রোহিতার শামিল বলে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন , আমি বিদ্যালয়ে আসতে না আসতেই মাত্র ৫ মিনিটের সব কার্যক্রম কিভাবে শেষ হয়ে গেছে বুঝতে পারলাম না।

তিনি আরো বলেন , বিষয়টি আমি ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর মিটিং এ উত্থাপন করব। আওয়ামী লীগের নাম ব্যাবহার করে সভাপতি হয়েছে অথচ সে আওয়ামী লীগ এর আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়েছে।

let 33
জমি নিয়ে হিসেব নিকেশ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব আবদুল খালেক প্রতিক্ষণ ডট কমকে জানান , আমি সকাল বেলা স্কুলে চলে এসেছি। এবং জাতীয় শোক দিবসের দিন জাতির পিতার আলোচনা না করে ছাত্রছাত্রীদের বিদায় করে দিয়ে বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে হিসেব নিকেশ করতে বসেছি এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।

তবে আমাদের স্কুলের কালো পতাকাটি নষ্ট যার জন্য আমরা পতাকাটি উত্তোলন করতে পারিনি বলে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক কলটি কেটে দেন।

met
মিটিং এর নামে গল্প-গুজব

উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রতিক্ষণ ডট কমকে জানান, তিনি প্রধান শিক্ষক জনাব আবদুল খালেক বিরুদ্ধে অভিযোগটি পেয়েছেন এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন। তবে পতাকা নষ্টের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটি সেটা তিনি খতিয়ে দেখবেন এবং অতি দ্রুত তিনি এর ব্যবস্থা নিবেন।

প্রতিক্ষণ/এডি/এমএস

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G