ভ্যাট চেকার অ্যাপে রাজস্ব আদায়

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ৬, ২০১৫ সময়ঃ ১০:০৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৪২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

12356000_1117148424997022_147186378_oএকটি দেশের আয়ের অন্যতম উৎস হলো ভ্যাট। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও জনসাধারণের কাছ থেকে আদায় করা এই অর্থেই উন্নয়নমূলক কাজ করে থাকে সরকার। জরিপে দেখা যায় প্রতিনিয়ত শত শত প্রতিষ্ঠান ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে। তবুও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অভাবে অধরাই থেকে যাচ্ছে এসব ব্যাবসায়ীরা।

সম্প্রতি এই সমস্যার সমাধান এনেছে ভ্যাট চেকার অ্যাপ। যা ব্যবহার করে আপনিও ধরিয়ে দিতে পারবেন ভ্যাট ফাঁকিবাজদের, যাচাই করতে পারবেন আপনার দেওয়া ভ্যাট, প্রতিষ্ঠানটি সত্যিই সরকারকে দিচ্ছে কিনা। আর এই অভাবনীয় আবিষ্কার কোন বিদেশি সংস্থা বা ব্যাক্তির নয়, একদল তরুণ বাংলাদেশির ।

এনামেলবিডির ফাউন্ডার ও অ্যাপ ডেভেলপার মোঃ জুবায়ের হোসেন তৈরি করেছেন এই কার্যকরী অ্যাপ। তরুণ এই অ্যাপ ডেভেলপারের সহযোগিতায় ছিলেন, এনামেলবিডির কো-ফাউন্ডার আসিফ কামাল তূর্য, মার্জিয়া প্রভা ও ইশতিয়াক মিশান।

প্রতিক্ষণকে দেয়া সাক্ষাতকারে জুবায়ের বলেন, ‘দেশেকে রাজস্ব ক্ষতি থেকে বাঁচানোর উদ্দেশেই এই আইডিয়া মাথায় আসে।’  12358262_1117148291663702_1726522086_n

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকেই একটি ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দেওয়া হয়, যেটাকে আমরা বিআইএন বলি। পুরো অর্থ বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নাম্বার । নিয়মঅনুযায়ী বিআইএন ১১ ডিজিটের। তবে ২০১২ র আগে রেজিস্ট্রিকৃত প্রতিষ্ঠানে ১০ ডিজিট ছিল, যাদের ১১ ডিজিট নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। অনেকেই নতুন বিআইএন নেয় নি। এটা অবশ্যই অন্যায়। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে বিন ৯ ডিজিট, ৮ ডিজিট। যেটা রাজস্ব বোর্ড থেকে অনুমোদিত না। এরা ঠিকই কাস্টমারের কাছ থেকে ভ্যাট নিচ্ছে, কিন্তু সরকারকে দিচ্ছে না। এদের কে ধরিয়ে দেওয়া আমাদের মত সাধারণ জনগণেরই দায়িত্ব।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর ) ওয়েবসাইটে বিআইএন স্ট্যাটাস বলে একটি ঘরে আপনাকে দেওয়া বিলের কাগজের উপর ছাপনো ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নং প্রবেশ করিয়ে আপনি নিজেই চেক করতে পারেন প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট অনুমোদনকৃত কিনা। যদি প্রতিষ্ঠানটির নাম আসে, তাহলে তা বৈধ। আর নো রেজাল্ট ফাউন্ড আসলে, প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাটের জন্য বৈধ নয়।Untitled

এনবিআর বিষয়টি কতটা গুরুত্ব দিয়েছে জানতে চাইলে জুবায়ের বলেন-‘সত্যি বলতে তাদের (এনবিআর) সহযোগিতায় আমরা মুগ্ধ। বিশেষ করে- আমরা চাই ঢাকা সাউথ কমিশনারেটের মতো দেশের অন্য কমিশনারেটগুলো যদি এভাবে আন্তরিকতার সাথে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে তবে অতি শীঘ্রই ভ্যাটে ফাঁকি রোধ করা সম্ভব হবে।’

সাধারণ মানুষ বিষয়টি কিভাবে নিয়েছে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- ‘খুব অল্প সময়ের ব্যবধানেই অ্যাপটির জনপ্রিয়তা আশ্চর্যজনক ভাবে বেড়েছে, মাত্র দেড় মাসেই ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৫০০০ ছাড়িয়ে গেছে।’

 

প্রতিক্ষণ/এডি/জেবিএম

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G