ভয় এবং রহস্যের আধাঁর : হ্যাংসন ডুং

প্রকাশঃ এপ্রিল ২৯, ২০১৬ সময়ঃ ৬:৩৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৩৩ অপরাহ্ণ

সিফাত তন্ময়

 

i_the_most_impressive_caves_in_the_world_016_4ff2bb462603c

হ্যাংসন ডুং; পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও ভয়ংকর গুহাটির নাম । মূলত এটি আলাদা কোনো গুহা নয়,  নেটওয়ার্ক দিয়ে যুক্ত লম্বা পথের বেশ রহস্যময় প্রায় ১৫০টি গুহা নিয়ে  ভিয়েতনামের কোং বিন প্রদেশের বো টাচ জেলায় অবস্থিত এই হ্যাংসন ডুং। এই গুহার মধ্যে দেখা মেলে বিষধর সাপ, বড় মাকড়সা, অদ্ভুত সব প্রাণী ও অজানা-অচেনা বৃক্ষরাজি। এছাড়াও গুহার মধ্যে রয়েছে অনেক সুড়ঙ্গপথ, যেসব পথ দিয়ে অতি সহজেই ভিয়েতনামের এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে যাতায়াত করা যায়। রয়েছে পানির ফোয়ারা, একাধিক জঙ্গল।

The view back towards the towering entrance and the main river passage in Quankou Dong. Thick beds of limestone break through towards the ceiling high up above the floor of the cave

দূর থেকে দেখতে হ্যাংসন ডুংকে দোতলা বাসের মতো মনে হয়। যে কারণে হ্যাংসন ডুং অতি আকর্ষণীয় গুহা হিসেবে বিবেচিত। হ্যাংসন ডুং গুহাটি আবিষ্কারের ফলে পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ গুহা হিসেবে মালয়েশিয়ার ডির গুহার স্থান দখল করে নেয়। ভিয়েতনামের জাতীয় উদ্যান ফুং না কিং ব্যাংয়ের পাশেই হ্যাংসন ডুংয়ের অবস্থান।

dunyanin-en-buyuk-magarasi-son-doong_8260552-15120_1280x720

গুহাটি প্রথম আবিষ্কার করেন সেখানের স্থানীয় এক ব্যক্তি, যার নাম হো-খানহ। ব্রিটিশ গুহা গবেষণা সংগঠনের প্রধান হাওয়ার্ড ও ডেভ লেমবার্ট ১০-১৪ এপ্রিল ২০০৯ সালে বিশ্বের বৃহত্তম এই গুহা নেটওয়ার্কের আয়তন ও প্রশস্ততা পরিমাপ করতে সমীক্ষা শুরু করেন।গবেষক দল গুহাটির আয়তন পরিমাপ করতে পারলেও এর শেষ খুঁজে বের করতে পারেননি। বারবার গবেষণা থমকে গিয়েছিল এই গুহার।

worlds-largest-and-terrible-600x400

গুহা আবিষ্কারের সময় সম্মুখীন হন নানা বিপদ-আপদের।তারা গুহার মধ্যে পান বিষধর সাপ, বড় মাকড়সা, অদ্ভুত সব প্রাণী ও অজানা-অচেনা বৃক্ষরাজি। তারা গুহার মধ্যে দেখতে পান ছোট ছোট পানির ফোয়ারা। গুহার মধ্যে রয়েছে অনেক সুড়ঙ্গপথ, যেসব পথ দিয়ে অতি সহজেই ভিয়েতনামের এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে যাতায়াত করা যায়।

Son-Doong-Cave-Vietnam-Tour

প্রথম দিকে এ গুহা এলাকার দিকে স্থানীয় লোকজন আসতে ভয় পেত, কারণ তারা এই গুহার তলদেশের নদী থেকে উচ্চৈঃস্বরে শব্দ শুনতে পেত। গুহাটি আবিষ্কারের পর এখনো এটি সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত নয়। কারণ এ গুহাটি অত্যন্ত ভয়ানক। এখানে পৃথিবীর অন্যতম মারাত্দক সব জীবজন্তু ও পোকামাকড়ের আবাস।

প্রতিক্ষণ/এডি/এস. টি.

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G