ভয়ংকর ৫ নারী খুনি
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
নারী হবে রমনীমোহন, স্নেহময়ী, কোমল মতি, মমতাময়ী। এমনটি ধারণা আমাদের সবার নারীদের প্রতি। কিন্তু এই নারী যে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে, ইতিহাসে তার প্রমান পাওয়া যায় বেশ কিছুবার। সেরকমই কিছু নারীকথন রয়েছে আজ প্রতিক্ষণ পাঠকদের জন্য।
অ্যার্জেবেত বাথোরি
অ্যার্জেবেত বাথোরি হাঙ্গেরিতে ১৫৬০ সালে জন্মগ্রহণ করে। তার গল্প শুনলে মনে হবে কোনো ভৌতিক ছবির কাহিনী শুনছি। বলা হয়ে থাকে, ৫৪ বছরের জীবনে সে অন্তত: ৬০০ জনকে খুন করেছে। শুধু তাই নয় খুন করার পর তাদের রক্ত দিয়ে গোসলও করত অ্যার্জেবেত বাথোরি। ভয়ঙ্কর খুনি হিসেবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম আছে তার। এই কুখ্যাত নারী ১৬১৪ সালে মারা যায়।
বেল গানেস
নরওয়ের বেল গানেসের জন্ম ১৮৫৯ সালে। ইতিহাসে এ নারী ‘ব্ল্যাক উইডো’ নামে পরিচিত। নরওয়ের এ নারী জীবনে ৪০ জনের মতো মানুষকে হত্যা করেছে। নিহতদের মধ্যে তার স্বামী, বোন, এমনকি সন্তানও ছিল বলে ধারণা করা হয়। বেল গানেস মূলত টাকা এবং মূল্যবান সম্পদ হাতিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে খুন করত। আবার খুন করার সময় কেউ দেখে ফেললে তাকেও সে হত্যা করত। সে কোনো খুনের সাক্ষী রাখত না। ভয়ংকর এই নারী ১৯০৮ সালে মৃত্যুবরণ করে।
লিওনার্দা চিয়ানচিউলি
লিওনার্দা চিয়ানচিউলি ১৮৯৪ সালে ইটালিতে জন্মগ্রহণ করে। সে অন্যদের মতো কোনো সিরিয়াল কিলার নয়। মাত্র তিনজনকে হত্যা করেই লিওনার্দা হয়েছে বিশ্বকুখ্যাত। তার জীবন কাহিনী থেকে জানা যায়, সন্তানকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যেতে হবে শুনে ভাবনায় পড়ে যায় লিওনার্দা। সন্তানকে যুদ্ধ থেকে দূরে রেখে বাঁচানোর একটা উপায়ই এলো মাথায়। লিওনার্দা ভাবল, সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশে অন্যের প্রাণ উৎসর্গ করলে ছেলেকে বাঁচানো যাবে। তারপর সে একে একে তিনজন মধ্যবয়সী নারী হত্যা করল। লিওনার্দা ১৯৭০ সালে মৃত্যুবরণ করে।
আয়েলিন ক্যারল
যুক্তরাষ্ট্রের আয়েলিন ক্যারল ওয়ারনোস ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ সালের মধ্যে সাতজনকে খুন করেছিল। আয়েলিনের দাবি, ওই সাতজন তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছিল। আত্মরক্ষার্থে সে তাদের হত্যা করেছে। কিন্তু দাবির সত্যতা প্রমাণিত হয়নি। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ফ্লোরিডার আদালত। তার জীবনকাহিনী নিয়ে টিভি সিরিয়াল, পূর্ণদৈর্ঘ ছবিও তৈরি হয়েছে। ‘মনস্টার’ ছবিতে আয়েলিনের চরিত্র রূপায়ন করে অস্কার পুরস্কার পান শার্লিজ থেরন।
হুয়ানা বারাথা
হুয়ানা বারাথার জন্ম ১৯৫৭ সালে মেক্সিকোতে। পেশাদার কুস্তিগির। তবে মানুষ হত্যায় নেমে সেই পরিচয় প্রায় ভুলিয়ে দিয়েছে। হুয়ানাকে এখন ঠান্ডা মাথার সিরিয়াল কিলার হিসেবেই চেনে সবাই। সে কমপক্ষে ১১জনকে খুন করেছে। আরও ৪৯জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পেছনেও তার হাত আছে বলে সন্দেহ করা হয়। ১১জনকে খুন করার জন্য ৭৫৯ বছরের জেল হয়েছে হুয়ানার। এখনও জেলেই আছে সে।
প্রতিক্ষণ/এডি/ডিএইচ