মহাজোটের টানা তৃতীয়বার বিশাল জয়

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮ সময়ঃ ৯:১৪ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৫৩ অপরাহ্ণ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বারের মতো বিশাল জয় পেল মহাজোট। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নবম জাতীয় সংসদ থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করছে। দশম জাতীয় সংসদের পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।

প্রতিদ্বন্দ্বী জোট ও দলগুলোকে বহু পেছনে ফেলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করল মহাজোট। প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায় ২৮৭টি আসনে জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। বিএনপি জোট অর্থাৎ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে ছয়টি আসন। গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুকাব্বির খান সিলেট-২ আসনে দলীয় প্রতীক উদীয়মান সূর্য নিয়ে জয়ী হয়েছেন। মহাজোটের বাইরে জাতীয় পার্টির উন্মুক্ত প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া টিপু জয়ী হয়েছেন বরিশাল-৩ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন তিনজন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত আছে। সেখানে এগিয়ে আছেন ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার। এ ছাড়া গাইবান্ধা-৩ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে সেখানে নির্বাচন হবে ২৭ জানুয়ারি।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোট ও ১৪ দলের নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগ মোট ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ২৬০, ১৪ দলের ১০ এবং মহাজোটের ৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৪ দলের ১০টি আসনের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, জাসদ (ইনু) দুটি, জাসদ (আম্বিয়া) একটি ও তরীকত ফেডারেশন একটি আসনে জয়ী হয়েছেন।

মহাজোটের ৩০টি আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ২১টি, বিকল্পধারা দুটি ও জেপি-মঞ্জু একটি আসন পেয়েছে।

জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মহাজোটের শরিক হিসেবে ২৬টি আসনে লাঙ্গল প্রতীকে ও জেপি-মঞ্জু একটি আসনে বাইসাইকেল প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেয়। মহাজোটে থাকা অন্য সব প্রার্থীর প্রতীক ছিল নৌকা।

গতকাল রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ফলাফল প্রসঙ্গে রোববার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম বলেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে যে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব তা এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে।’ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন এইচ টি ইমাম।

এইচ টি ইমাম বলেন, ‘বাংলার জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থনে, এই স্বাধীন-সার্বভৌম নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর সব কৃতিত্বের দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি সরকারপ্রধান হয়েও স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী কীভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়, তার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।’

শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ইমাম বলেন, ‘এখন কোনো আনন্দ মিছিল করার সময় নয়, এটি জাতি গড়ে তোলার উপযুক্ত সময়।’

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। বিদেশি ও স্থানীয় পর্যবেক্ষকরাও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং স্বতঃস্ফূর্ত ভোটের জন্য তাদের সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’

এদিকে নির্বাচনে অংশ নিলেও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষে ফলাফল প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দিয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করেন আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। এ সময় পাশে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

প্রতি/ এডি/রন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G